তুমি মন চেনো না মনকে পাগল করো,
না বেঁধে মন হৃদ্-কুসুমের শীতল রশি টানো।
তুমি ভাব জানো না; রঙ ছড়ালে মনে,
বন্ধুলিতে হাত রেখে হাওয়া দিলে জোরে।
তুমি প্রেম না দিয়ে সাঁঝবেলাতে উদাস করো মন,
পথের বাঁকে আঁড় চোখেতে হলে রসিকজন।
তুমি সুর না তুলে প্রাণ বিহঙ্গে বাজাও নিশি বাঁশি;
ব্যাকুল হলো জ্যোৎস্নারাশি; একা হল শশী।
তুমি পথ চেনো না উদাস পথিক হলে,
না ভেবেই গাঁও ছেড়ে শহর খুঁজে নিলে।
তুমি ধরলে না হাত; ডাকলে কাছে আরো,
অভিমানের স্বপ্ন দেখে রিক্সায় উঠে পড়ো।
তুমি মন ভালো নেই ভেবেই, দখল নিলে লেকের−
কেউ তাতে হারিয়ে গেলো; একা হলো বিকেল।
তুমি মন না বুঝেই হৃদ্-বিরহ ছড়িয়ে দিলে বুকে;
লেকের জল মুচকি হেসে হাওয়ায় ওঠে দুলে।
তুমি ঢেউ না চিনে নাও ভাসালে উজানে,
মাঝি তোমার রয়ে গেলো বালিয়াড়ির চরে।
তুমি পার না চিনে সাগর কূলে বাঁধলে বসতঘর,
সেই ঘরেতে আজীবনই রইলে তুমি পর।
তুমি ঘরকুনোকে করলে বাহির; লুকোচুরি খেলে,
দিক হারিয়ে প্রেমিক ঋষি; ধূমল পাহাড় চুড়ে।
তুমি আভাস ছাড়া প্রেম-নগরে দিলে প্রমাদ ঝড়,
লয় পবনে উড়ছে এখন প্রেমাবতার ঘর।
তুমি না ভেবেই হলে প্রেম-বৈরাগী; প্রাণ যে ছিল কারো,
তপ্ত ছোঁয়া রসিক তুমি ধ্যানের নয়ন কাড়ো।