জলে এসে গাঙচিল ফিরে যায় তীরে
কততো এইসব দেখে যাই ভাবনার কুরুক্ষেত্র,
আমার কোথাও বাঁধা নেই খুঁজে গেছি আজীবন
তবুও দূর দেহলি বন্ধ রয়েছে, করে গেছে ছল।
তোমার আবাস তবে কি গহীনে
নোঙ্গরবিহীন দিকহীন চলে;
এমন হৃদয় আজীবনই গেছি ভালোবেসে।
কতদিন এইভাবে এই সমতল আমি চিনে রাখি,
কুলের যাত্রী তরীর আশাতে পারাপার নাহি জানি।
ভুলে গেছি জল ছুঁতে মরে যেতে সমুদ্রের জলে,
দীর্ঘশ্বাসের সেতু ভাসান জলে আনমনে চলে।
কে জানে কার কোথাতে সুখ ঝুলে থাকে
শিকেই ঝোলানো মাকড়সার ঝুলে,
তাতে থাকে বড় আশা বাঁধিবার ঘর
দুলে যায় আজীবনই ভুলে চরাচর,
তাও ভাঙ্গে বারে বারে জানালার বাতাসে—
খুব বেশি টিকে থাকার অজুহাত পেলে,
সেই জাল ভাঙে তবু ঝুল ঝাড়ু, ভেঙে দিতে আশা,
আবারও সেই ঘরে মাকড়সা গড়ে নেয় বাসা।
আমি অনিমেষ আকাশ হতে পারি না,
এতোটুকু জল হয়ে বৃষ্টির জলে তোমায় ছুঁতে পারি না,
সেইটুকু পথ ভুলে, তবুও ফিরে আসি তরী যদি আসে।
বারে বারে যাকে তুমি বেদনা বিলাস বলে
ফিরিয়ে দাও দুফোঁটা চোখের জল মুছে,
কখনো যদি আমার মত একরাত্রি বসে যেতে বিনিদ্র,
জানি সেই কথা কানে কানে বাতাস বলে যেত;
অপেক্ষা যে কত বেদনার—নাকি তা বিলাস ছিল।
২৯ অক্টোবর ২০২০, শঙ্কর, ঢাকা।