আয় সখী আয় হাতটা ধরি পালক খসার দিন,
কোন ফাগুনে ফুটবে প্রেম, নিতুই বক্ষলীন।
ফুল বসন্ত জরায় বুকে; তরুছায়ার তৃষ্ণা চারিধার,
মেঘ বালিকার শুভ্র পালক−ছোঁয়ার নেই যে অধিকার।
আয় সখী আয় গল্প করি লাজলজ্জা ফেলে,
পাতা খসার গুঞ্জন উঠুক এই নীরব শহর জুড়ে।
চার দেয়ালে বদ্ধ জীবন; দৃষ্টি কেবল নীলপদ্ম জলে,
আয় সখী আয় স্নান করি সফেদ ফেনিল ঢেউয়ে।
আমি যে হায় প্রেমদেবতা ডানা ছাড়া পুতুল,
শখ যে আমার উড়তে পাশে; অষ্টপ্রহর ব্যাকুল।
সব রেখেছি তোর জন্য ফোটা ফুলের কিঞ্জল,
বুকের ভেতর মলিন চোখের দুষ্ট বালক চঞ্চল।
জল দিলি না তৃষ্ণা চরে, হাতের মুঠোয় প্রেম,
তোর চোখ দেখার পরে মাতাল মনের হেরেম।
কাঁচা সোনা রোদ মাখা দিন−আর কি ফিরে পাবো?
আজ হারালে কাল অতীত; বিরহ পথিক হবো।
অলাজ প্রেমের তুহিনশীতল অধিপতির এলানে,
রাত পোহালে গল্প ভাসুক লোকালয় আর প্রান্তরে।
এমন প্রেমের আভাস দিয়ে কতই বা আর ভাবাবি,
আমি যে হায় ঠায় দাঁড়িয়ে; প্রেম পাগল স্বভাবী।