কী সেই জাগ্রত অন্ধকার!
যা কেবল আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে
মোহ মায়া চারিধার মিধ্যে জনরোষ;
কী সেই জাগ্রত মিধ্যাচার চিৎকার করে!
আমি বলছি সেই ভবিতব্য যা কেবলই
আমাদের কষ্ট দেবে। ক্রমান্বয়ে সমস্বরে
পাল্টে দেবে সাদা কালো দোয়েলের রং
যা চিরকাল অদৃশ্য রয়ে যাবে;
আর আমরা তলিয়ে যাবো চোরাবালুর গহবরে।
আমরা চোখ বুজে দৌড়ে যাচ্ছি; বাঁশিওয়ালা হাসছে,
রেসের শেষটা আঁকেনি কখনো সে;
অজানা সুর তোলে সন্তর্পণে।
আমরা কি জানি? আমাদের দুই হাত
একই রকম নড়ে না কখনো, সেই রকম
দুই দৃশ্য দেখে না চোখ; এক পলকে
অনেক অবিশ্বাস; বিশ্বাস করে মন হরদম!
হাতের মুঠোয় যা তা মূল্যহীন
নাড়াচ্ছি না; কী দরকার!
আমরা শ্লোগানের নাগরিক লাগামহীন
উপরি প্রাচুর্যের ঘোর সওয়ার।
যা পাচ্ছি; তা নিয়ে ভাবি না কোনো দিন
সুদূরে সোনার সুর গাঁও; রঙ তুলির
ভিতহীন মানচিত্র; কষ্টে ধরে রাখে দেয়ালের বুক;
মায়াজালের ফাঁদে পড়ে যায় ক্লাউন চোখ।
না, তোমরা ভেবো না আমি কবিতা লিখছি
বা আমাদের পূর্বপুরুষের উপাখ্যান।
রাজনীতি; আমি নেতা হবো-
যা আমাদের ঘোরপ্যাঁচে ফেলে চিরকাল।
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮