একদিন তাকে দেখে যে রাত জেগেছি
সেইরাত আজও হয়নিকো ভোর,
আজীবন কৃষ্ণাভ ব্যথা সয়ে সয়ে
শিয়রে কেটেছে রজনী-বসত একাকী;
তৃষিত জল ঝরেছে হাস্যোজ্জ্বল ভোরে,
সে খেলা আজও দ্যুতিমান নিয়তির ছলে।
একদিন ভালোবাসার মায়াময় প্রেম রেখে
নারীর দেহে সাপের ফণায় কত বিষ জেনে
অতৃপ্ত যৌবন ভয় পেয়ে পালায় চোখ বুজে,
নিজের ঐশ্বর্য পড়ে থাকে অসহায় গোধূলির মতন;
মরা নদী যার নাম তা উলঙ্গ যৌবন।
অলিক দেবতারা যুগে যুগে প্রেমেই করে গেছে রাজ
উর্বরতা ভুলে মার্স স্তন চুষেছে কত আফ্রোদিতির;
প্রেমের অভিসম্পাত স্বাদ জিহ্বার তালুতে রেখে
কত দেব-দেবী, মানুষেরা হয়েছে পরাধীন, কৃতদাস,
করেছে কারাবাস, আরো কত প্রেমিক প্রবরেরা
উন্মাদ বনে গেছে আজীবন ভালোবেসে;
প্রেমের হ্রেষাধ্বনি সাক্ষ্যবিহীন বয়ে গেছে সেই গ্লানি,
প্রেমের এত রূপ অরণ্যেরও নেই, জলেরও নেই।
আফ্রোদিতি ভেনাস হয়েও হেরেছে প্রেমারূপ মোহে,
সাইকির প্রেম আজও নাকি তাই বেঁচে আছে;
ভেনাসের বরপুত্র তবে কী প্রেমান্ধ কিউপিড?
মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে করেছে সম্ভোগ—
মানবী সাইকির অমরত্ব লীলা;
প্রেমের মিথ বাতাসের সাথে মিশে থাকে
সেই ঘ্রাণ কোনোদিনও একা নয় আঁধার রাতে,
যদিও কিছু মানুষ একা হয়ে যায় বিরহ খেলায়;
প্রেমের দেবী-দেবতারা এইখানে মানুষের চেয়ে অসহায়।
আমি দেবতার প্রেমে লজ্জিত হবো নাকি
আজীবন রয়ে যাবো শিকলপরা প্রেমিক সংশয়;
মানুষের দুই রূপ ভেতর-বাহির
আমি অন্তরে খুঁজে চলি এমব্রোজিয়া, বাহিরে অরূপ;
আমি অমর হতে চাই—
সম্ভোগী দেহকে ভালোবেসে।