স্পর্শহীন বুকে একরাশ প্রতীক্ষা অনাহুত
হাত পাতা অসঙ্গ অপেক্ষায় থাকে
অপার নক্ষত্রের সীমানার মতো।
আকাশের সাথে কথা বলে অতুষ্ট জীবন
এই মাটি জল ছুঁলে পাবো না তোমায়;
আমি সন্ন্যাস; অর্শাবিহীন খোয়াবী জীবন।
জেনেছি আজও জীবন প্রকৃতির নিয়ম ভাঙে
কোনো এক বৃষ্টির ফোঁটা সাঙ্গহীন
অনাদর শেখায় শীতবস্ত্র অভিধানে,
ছোঁয়াহীন তৃষ্ণার্ত জীবন আঁধারিমায় ধ্যানলীন—
আমিও পরাভূত; পারি না ছুঁতে
তোমার এই অধিক তৃষিত জীবন।
আমার পৃথিবী শেষ হবে বিরহের সাথে
আজও তাই ভয়হীন বেদনা
অবিরত অবিচল হাটে সাথে সাথে।
জোর করে বাহু ধরে পরাধীন হলে
সমুখের সব বারিধারা আজও
মৃদু হেসে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়,
স্নান ফেলে অধিক তাড়া ভেজা পায়ে পায়ে
উঠোনের ধুলোবালি আবারো জড়ায়—
ক্ষীণ আশা সবিশেষ রূপসা পারে
একদিন শখ করে হাতে নিয়ে জল,
জল ছুঁয়ে জড়িয়ে ধরি দেহবন্ধন
মুখ ধুয়ে বলে ফেলি — ‘ধুয়েছি জীবন’।