নিঃশব্দে পিকাসোর বালিঘড়ি
ঝরে চলেছে বালি উপর থেকে নিচে
সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসনের মাপকাঠি সে।
নিঃশব্দে
যদি হঠাৎ থেমে যেত?

কান পেতে শোনো
চোখ বুজে অনুভব কর
সেই মুহূর্ত
যখন সময় স্থির
যখন সবাই স্থির
নিশ্চল-অবিচল পাথর।

ক্ষুধাতুর এক ছোট্ট ছেলে
ট্রেনে ট্রেনে হাত পেতেই
পেট চলে তার
দেখো এখন সে কত অধীর আগ্রহে
জীবনের পরের মুহূর্তের জন্য
অপেক্ষা করছে
যে মুহূর্তগুলো তার হাতে দেবে
আরো কয়েকটা টাকা
তার বেঁচে থাকার রসদ।

মফঃস্বলের এক ছোট্ট বৃদ্ধাশ্রম
এক অশীতিপর বৃদ্ধ
ঝুলবারান্দার একচিলতে রোদে
জলভরা চোখে তাকিয়ে আকাশের দিকে
দেখো সেও কত আকুতি বুকে নিয়ে
পরের মুহূর্তের জন্য
অপেক্ষা করছে
যে মুহূর্তগুলো তার কাছে এনে দেবে
তার একমাত্র ছেলেকে
জলভরা চোখে বলাবে, “বাবা ফিরে চলো
এখানে তুমি খুব একা।"

কথায় বলে, আশায় বাঁচে চাষা
শুধু চাষা কেন, সারা জগৎই
আশার খড়কুটো আঁকড়ে
জীবন-নদী পার হয়ে যাওয়ার
স্বপ্ন দেখে।
তাই সবাই এখন
অপেক্ষা করছে
কখন আসবে আবার নতুন মুহূর্ত
নতুন সময়
নতুন আবেগ
নতুন জীবন।

নিঃশব্দে পিকাসোর বালিঘড়ি
আবার ঝরাচ্ছে বালি উপর থেকে নিচে।

তুমি নাকি সুইসাইড করতে চাইছিলে?