সূর্য আলো ডুবে গেলে চোখের নিচে সন্ধ্যা নামে।
পথের সঙ্গ শেষে কত কথা মনের কোনে বাউণ্ডুলে।
শুকনো পাতার সঙ্গী আমি দেখেছি প্রবীণ আকাশ।
কি জানো তুমি মৃত্যুর কত প্রকার?
সেই যে কতদিন নিরবতায় ঘিরে আছো তুমি।
চেনা শহর থেকে দুরে যেন এক বসন্তহীন পলাশের বনে।
তোমার অনন্ত নিরবতার সংগীত বয়ে আনে ইথারীয় তরঙ্গ।
আমি কান পেতে রই।
এখনো তোমার অপ্রতুল চাহনির সামনে আমার তুমুল কিছু প্লাবন
নিবিড় সোহাগের জন্য অচঞ্চল।
আর তুমি সেই সাত পুরানো সকাল পেরিয়ে
কাউকে হারাবে বলে বেঁধেছো মন কত শক্ত করে।
কখনো অপরাহ্ণ আষাঢ়ে তোমার আঁচল বাতাসে কাঁপে।
আমি আশায় থাকি তোমার সব অভিমানি মেঘ
জড়ো হলে নেমে আসবে এক বৃষ্টিপাত।
তুমি যদি চাও আমার বুকে থাক কিছু কষ্টের দাগ।
আমি নতজানু।
অবহেলার শীতলতায় সময় কেটে যায়
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে এক বিষণ্ণ সঙ্গমের মত।
কান্দী মুর্শিদাবাদ ১৯/৬/২২