অপ্রকাশিত ভালবাসা -
এখনো কাঁদায় আমায়।
পারিনি বলিতে পারিনি-
দিতে চাইলেও নিতে।
শীতেই তাহার সাথে -
আমার হল প্রথম দেখা।

পৌষ এর শীত বলে কথা,
ভোরে ঘুম থেকে উঠে -
গ্রামে সকলে একটু চাই্তু-
রৌদ্রের চোয়া।

আমিও মা বোন সকলের -
সাথে রৌদ্রের এই  চুয়া-
নিতে বসে পড়তাম একসাথে।

কারো গায়ে থাকতো চাদর-
কারো গায়ে সোয়েটার,
বসে সবাই করত গল্প -
কেউবা পড়ত কোরআন।

প্রতি দিনের মত আজ আমি-
গিয়েছি পেতে মিষ্টি -
রৌদ্রের চুয়া।  

গিয়ে দেখি না দেখা না -
জানা এক ফুটন্ত ফুলের কলি।

আমি হঠাৎ কি যে লজ্জা পেলাম,
যাহা আগে কখনো অনুভব-
করিনি,  

কিসের সূর্য কিসের রৌদ্র -
পালিয়ে গেলেই যেন বাঁচি।

বোনটি আমার বলল -
তখন, কোথায় যাও তুমি?
বলি আমি একটু আসি -
তোমরা সবাই বস ।

পরের দিনও একি রকম,
আমার আগে তারা।
সকাল বেলার পাখি গুলা-
তখনো করছে খেলা।

পৌষের শীতে মাঝে মাঝে-
দেখতে পেতাম পুকুরে-
মাছের খেলা।

আজ আর করবেনা লজ্জা,
রাত্রে ই করেছি ভাবনা।
বসতাম যেতাই সেখানটায় -
ছিল পুকুরের ঘাঁট খানা।

এইভাবে কয়টা দিনে -
কিশোরী টি গায়ে পড়ে -
বলিত তাহার কথা।

আমিও তখন কিশোর ছিলাম-
১৫ কি ১৬ বয়স খানা ।

জানতে পারলাম কিশোরী টি,
আমার বাড়ির কারো ফুফা'ত-
বোন। সেই সুবাদে আমারও
হল দূর সম্পর্কের ফুফাত বোন।

হাঁসি তে তাহার মুক্ত ঝড়ে
আমার হৃদয় খানায় ।
আঁখি তাহার সুর্মা বিনা ছিল-
হরিণীর আঁখি ।

এইসব দেখে আমার মনে-
গেতেছি তাহার মালা।
তাহার চেয়ে লজ্জা আমার ছিল-
অনেক বেশি,

তাই তু আমি পারিনি বলতে-
হৃদয়ে গাঁতা মালার গল্প খানি।
এইভাবে এখনো কাঁদায় আমায়,
অপ্রকাশিত ভালবাসা খানি ।