বাসস্ট্যান্ডে দেখা হতেই    বলল আমায় কাজি –
“ এ বছরে খেলছিস না   আই পি এল-এ বাজি ?”
আমি বলি – টুকটাক বেট,   এই বছরেও খেলি ...
ছোট্ট আমার ভায়ের সাথে   পাঁচ ছ’ টাকা ডেলি ।
এ কথাটা শুনেই হি ! হি !   হেসে বলল কাজি –
“খেলিস না আর ভায়ের সাথে   যৎসামান্য বাজি ।
বাজি যখন খেলছিস, তখন,   খেলবি বড় মাপের
হারলে থাপ্পড় খাবি, নতুবা ,   আদর পাবি বাপের।”
আমি বলি – সে কথা কি   আমাকে হয় বলতে ?
বড় বড় বেট খেলেই তো   আর পারিনা চলতে ।
পাঁচশো হাজার করেই আমার  হয়েছে সব সাড়া
এখন আমার ফক্কা পকেট !   পাড়ায় সঙ্গছাড়া ।
ঠিক সেদিনের প্রথম ম্যাচে লিইনিকো কলকাতা
মুম্বাই টিম সেদিন আমার     নেওকে দিল মাথা ।
পরের ম্যাচে যুবরাজ-দার   দিল্লী যেচে নিলাম ,
আটশো টাকা হেরে, বাপের  আছিলা বাঁশ খেলাম ।
রেগেমেগে তৃতীয় ম্যাচে   হাজার টাকা বাজি ...
এই ভেবে যে আমার ভাগ্য  পরীক্ষা হোক আজই ।
জানতাম না, এ কপাল পোড়া, এই বছরটা নয় শুভ
সেই ম্যাচেতেও নিশ্চিত হার   অবস্থা ডুবো ডুবো ।
পাঞ্জাবের টিম লিয়ে সেদিন ......   হলাম সব্বশান্ত !
ম্যাক্সওয়েলের ফরম নেই তা  কেই বা আগে জানত ?
ল্যাংটা করে ছাড়ল আমায়   পাড়ার যত পান্ডা !
বাজি খেলার কুটকুটিটা   সেদিন থেকেই ঠান্ডা ।
সেদিন থেকেই মন বলেছে   যা গেল... তা গেল ,
পরের সাথে আর খ্যালো না   ভায়ের সাথেই খ্যালো ।

২৭/০৪/২০১৫
লালগোলা , মুর্শিদাবাদ