মহোৎক্রোশ জাতক
দেবপ্রসাদ জানা
সে এক অনেক দূরে
গভীর জঙ্গলে।
বাস করত পশু পাখি
একই অঞ্চলে।
সিংহ ছিল কাছিম ছিল
ছিল বাজ পাখি।
ঈগল ছিল বন্ধু তাদের
কহিল সে ডাকি।
বনের মধ্যে,লোক এসে
ধরছে নিরীহ পাখি।
রোষ্ট করে তন্দুর করে
খাচ্ছে তারা দেখি।
রাত্রিবেলা মশাল জ্বেলে
ধরবে পাখি আজ।
ওদের আজ তাড়াতে হবে
এসো ফেলে কাজ।
বট গাছের নিচে তারা
ঘাঁটি গেড়ে আছে।
গাছে উঠে ধরবে পাখি
বাসা যে সব গাছে।
চলো সবাই চেষ্টা করি
বাঁচাই শান্ত পাখি।
অন্ধকারে মশালটাকে
নিভিয়ে দেব দেখি।
পুকুর থেকে পাখায় করে
জল দিল ছুঁড়ে।
মশালটা যেই নিভে গেল
এলো তেড়ে ফুঁড়ে।
একবার নয় দুবার নয়
নিভল বারবার।
তাই না দেখে ক্ষেঁপে গিয়ে
বলল সরদার।
থাক তবে আজকের রাত
দিনের আলোয় ধরব।
বড় পাখিদের না পেলেও
বাচ্চা গুলো মারব।
হঠাৎ দেখে কাদা মাখা
কচ্ছপ একখানি।
মোটাসোটা কচ্চপখানা
পাখি কেন টানি?
মোটা একখান দড়ি নিয়ে
আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে।
টানাটানি অনেক করে
তুলতে গেল কাঁধে।
চার চারজন চারদিকে
একাই কচ্ছপ।
টেনে টেনে নিয়ে গেল
হলো না মচ্ছব।
সুযোগ বুঝে ঈগল গেল
সিংহ রাজার খোঁজে।
খেয়ে দেয়ে ঘুমের দেশে
ছিল চোখটি বুজে।
সব শুনে রাজামশাই
এলেন পুকুর পাড়ে।
সিংহ দেখে লোকজন সব
খিঁচে দৌড় মারে।
সিংহ ছিল সেই বোধিসত্ব
আর এক জনমে।
বন্ধুর মতো বন্ধু বলেই
লাগল করমে।
আর একটি শিক্ষা হলো
মিলেমিশে থাকো।
বিপদ আপদ কেটে যাবে
কেমন করে দেখো।
নতুন নতুন কথ্য গল্প
নতুন রকম স্বাদ।
ছড়া দিয়ে বলছে শোনো
জানা দেবপ্রসাদ।