আঁধারের মৃত্যু
দেবপ্রসাদ জানা
৩১.৭.২০২১
একটা আঙুলের চাপে হত্যা করি অন্ধকার।
রাতে আঁধারটাকে গলা টিপে মারি।
রাতের পাখিরা ভয়ে লুকিয়ে পড়ে -
গাছের আড়ালে।
রূপালী জোছনার হৃদয়ে দারুণ বেদনা।
খোলা জানালায় তার প্রবেশের অধিকার নেই,
স্বপ্ন হারিয়ে যায়,নিয়নের আলোয়।
পাহাড়ীয়া অরণ্যে ভীতি,ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় -
গাছের আড়ালে আড়ালে।
অশরীরী আত্মা আত্মহত্যা করে,
দূরের নক্ষত্র চোখ পিটপিট করে,
নিয়নের আলোয়।
কারা যেন ভালোবেসে হারিয়ে যেতে চায়-
মুক্ত বাতাসে আঁধারের কোলে,
নিরাশায় বুকে বেঁধে রাখে,অসমাপ্ত চুম্বন।
অদৃশ্য ডানায় ঝুলে থাকে,
আকাঙ্ক্ষার পালকগুলো -
শুধু একটি আঙুলের চাপে,
মৃত্যু হয় কত আশা আকাঙ্ক্ষার,
ভেবে দেখিনি কোনোদিন।
অকাল মৃত্যুর দেশে প্রতিরাতে কত,
কত শত শিশু আঁধার,কিশোর অন্ধকার,
অকালে ঝরে যায় -
কী ভীষন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে প্রতিরাতে।
প্রতিদিন দিনের জন্ম হয়-
ভোর হয়,প্রভাত হয়,যৌবন আসে,
প্রেম আসে নজরে,
মাঝবেলায় হাসে সোনার সূর্য।
কনে দেখা আলোয় ওঠে কমলা রোদ।
বার্ধক্যে দিনের বিদায় দিয়ে -
উড়ে যায় পাখি, সূর্য ডুব দেয় ঘুমের সমুদ্রে।
পাহাড়ের ঢালে নৈঃশব্দ্য নেমে যায় নিশ্চিত
জীবনের প্রতিরক্ষায়।
কিন্তু রাতের অন্ধকার?
পূর্ণ বয়ষ্ক হবার আগেই মৃত্যু। কেন?
তার স্বপ্ন কেন ভেঙে যায় অকালে?