এ সেই মধ্যবিত্ত ক্ষত।
দেবপ্রসাদ জানা
সে এক মধ্যবিত্ত ক্ষত।
তাদের খিদে বাড়ে,খাবার দেখলে।
দুঃখ হয় অন্যের কষ্ট দেখলে।
হিংসে হয়,কারোর উন্নতি দেখলে।
ভয় হয় মৃত্যু দেখলে।
বুকের রুদ্ধতায় জন্ম নেয় স্বপ্ন,
বিসন্নতায় ছুঁলে,বাতাসে মারণ মন্ত্র ভাসে।
লুকোচুরি চলে মারণ উৎসবের।
নীল আলো জ্বেলে,
জোনাকিরা ঢুকে পড়ে-শয়ন কক্ষে।
অন্ধকারে খোঁজে প্রেয়সীর খোলা চুল।
প্রতীক্ষায় জাগে প্রত্যাশার-মন।
সফলতার সিঁড়ি ভেঙ্গে-
শেষে গ্যাস অম্বল আর ব্লাড সুগারের সাথে-
গোপনে লড়াই করে।
দৈহিক কষ্ট তবু মৃত্যুকে ভয়।
সে এক মধ্যবিত্ত চেতনায় -নিঃশব্দ বিচরণ।
ভিজে মাটিতে, স্যাঁতসেঁতে ঘরে,
কিংবা শীততাপহীন বদ্ধ নোনা ধরা -
পূর্ব পুরুষের চল্লিশ ইঞ্চি দেওয়ালের ঘরে-
জীবনের শেষদিনটার অপেক্ষায় থাকে।
পুরাতন আসবাব পত্র,
পূর্ব পুরুষের চিহ্ন বলে, সাজানো থাকে ঘরে।
মঙ্গলঘট পেতে সবর্দা মঙ্গল কামনায়-
ভিক্ষা করে অমৃত পাত্র।
দুধে ভাতে থাকতে দাও ভগবান।
শরীরে উষ্ণতা কুড়ায়,লড়াকু সংলাপে।
শোকযুক্ত অন্ধকারে,রজনীগন্ধার মালা-
পলকা কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে,
সারাজীবন শোক প্রকাশ করে অম্লান চিত্তে।
এ এক মধ্যবিত্ত ভাবনা।
শুধু আলো, শুধু রোদ, শুধু বৃষ্টি, শুধু শীত
সব এদের জ্বালার দিন।
প্রতীক্ষার চৌকাঠ পেরিয়ে,পাশ্চাত্য শিক্ষার-
অন্তরালে সংস্কৃতির বড়াই ছাড়া আর কি?
সমান্তরাল স্বপ্নের বীজ, রোপন করে -
বাঁচতে চায় আলোর সমুদ্রে।
এ সেই মধ্যবিত্ত চেতনা,
বোধের দরজায় দাঁড়িয়ে হাত পেতে ভিক্ষা করে।
পাশ্চাত্য শিক্ষার অহংকার।