দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অধ্যক্ষ (অবঃ)
তাং ২৮/১০/২০২০ ইং
লক্ষ কোটি জন প্রাণী
ধরনীকে করেছে ধনী
একের সাথে অন্যের মিল ক্ষীণ।
অবয়বে বিভিন্নতা
চাল চলনে বিষমতা
রংয়ে রসে মননেতে বৈচিত্র্যে অধীন।
বিশ্বময় নানা গোত্র
একে অন্যে ভিন চরিত্র
কিন্তু, মানবতায় গোত্রে গোত্রে মিল।
হয়তো, বৈজ্ঞানিক বিশ্লষণে
মিল পাবে কোনোখানে
বিজ্ঞান আর মানবিকতায় হবে শামিল।
মনস্তত্ত্ব (সাইকোলোজি) অনুসারে
একে অন্যে পরস্পরে
দুইয়ের রক্ত বিশ্লেষণে হতে পারে ঐক্য।
শ্বেত লোহিত রক্ত কণা
কালো আর নীল হয়না
, এ+ অথবা কারো , বি -নিগেটিভে অনৈক্য।
রক্তে রক্তে হলে মিল
গাত্র রং বা চেহারা বেমিল,
মানুষে মানুষে বিভেদ কোথায় বলো!!
বিশ্ব মানব এক কাতারে
ঐক্যের টানে সমাহারে
চিরন্তন বৈষম্যে সমূলে উচ্ছন্নে গেলো।
এখন দেখি সংসার স্থলে
বাৎস্যল্যের মর্ম মূলে
মাতৃ পিতৃ ধনের মিলে সন্তান জন্মায়।
যৌথ রক্ত একত্তরে
সন্তানের আয়ু বাড়ে
বিজ্ঞানের বিশ্লেষণে মা বা বাবার গ্রুপ পায়।
বাস্তবতা বলে লোকে
নবজাতক চেনে মাকে
গায়ের গন্ধ শুঁকে শুঁকে মায়ের দুগ্ধ খায়।
একটু বয়স বাড়লে পরে
শিশু খোঁজে জননীরে
অনেক মায়ের ভিড়ে মাকেখুঁজে নেয়।
বিজ্ঞানের ভাষায় ব্যক্ত
যত দূরে যায় না রক্ত
আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়ে সজোরে আটকায়।
সন্তান থেকে নাতির টান
রক্তর টানে হয় প্রধান
এই তত্ত্ব বলে বিজ্ঞানের ভাষায়।
এমন যদি রক্তের গুণ
বিশ্বে কেন জ্বলে আগুন?
আদি কালে তো "একজন মানুষ "ছিল।
একে একে দুই তিন
লক্ষ কোটি শতগুণ
আবার,
আসুন আমরা রক্তের টানে হই " একদিল "।