(প্রেক্ষিত:বাস্তবতা)

দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অধ্যক্ষ (অবঃ)
তাং ১৩/১০/২০২০ইং

সুসভ্য সমাজ দিনে দিনে আজ
পৌছে গেছে সীমানায়।
মানুষে মানুষে বৈষম্য কমেছে
সকলে সমান সুখ চায়।
তবু পথ পাশে,  কারা ভিক্ষা আশে
হাত পেতে বসে দিন রাত।
বস্ত্র তার ছিন্ন,   শরীর ক্ষীন্ন
খাবারের জন্য পাতে পাত।
এদের নারী এক,  ব্যারামে হত বাক
দৃষ্টি কাড়ে জোদ্দার পুত্রের।
প্রলোভনে অর্থ,  বাঁধায় অনর্থ
নষ্ট করে তার চরিত্রের।
অচিরে সবাই,  করে হাই হুই
ফলে ভিখারির লজ্জা।
অবৈধ সন্তান,  করে জন্ম দান
দুশ্চরিত্র বলে দেয় সাজা।
গ্রাম্য সালিশ,  পাইয়া নালিশ
হতভাগিনীর বিচারে।
স্বার্থপরতায়,  ঐচ্ছিক রায় দেয়
তাতে কে জেতে কে হারে।
খত দিয়ে নাকে,  দূর করে মাকে
সন্তান তখন অসহায়।
গ্রামের জোদ্দার,  সালিশে তাহার
"অনাথ " স্থান পায় শিশু আলয়।
সরকারি রেজিস্টার,  নাম চায় পিতার
ডেকে আনে জননীরে।
মাতা সবিস্তারে,  বলে রেজিস্টারে
( ওর)  পিতা জোদ্দারের ঘরে।
পুলিশ তখন,  অবৈধ রায়ের কারণ
জেলে পাঠায় জোদ্দারে।
আইন আনুসারে,  জোদ্দার পুত্রেরে
ছেলে- বৌ নিতে বাধ্য করে।
"অনাথের "আশ্রয়, এই ভাবে হয়
কপালের লেখা গুণে।
শিক্ষিত সমাজ পিছে কেন আজ
এ হেন কাহিনী  শুনে।
শুনুন স্বাধীন বিচারক,  হতে হবে বিবেচক
ধর্ষক আর ব্যভিচারি যারা।
বিচার করুন সুষ্ঠ,  কেউ নয় বলিষ্ঠ
নইলে জনতা দেবে তাড়া।