ইতিহাসে তথ্য লেখা, মানব জন্ম কবে?
প্রাক্ ইতিহাসের তথ্য কি করে জানাবে?
শুনি অংক কষে বিজ্ঞানী পিছন পানে যাবে,
জন্ম মৃত্যু বাইরের দৃশ্য
দুঃখের কান্না, সুখের হাস্য
না বুঝে মানুষ মনের ভ্রমে সুখ দুঃখ পাবে।
এ সমস্ত গূঢ় তত্ত্ব গভীর ভাবে ভাবতে হবে,
নইলে জীবন বৃথাই হবে।
জল মগ্ন ধরনীতে প্রাণের ধারায় আসে দানবে?
তথ্য মতে "ইভিউলেশনে "পর এসেছে মানবে
মানুষ বৃক্ষ, পাহাড় গুহা বন বনানীর পর্বে
বুদ্ধি বলে করি লঙ্ঘন
ক্রমান্বয়ে হয় সচেতন
সমাজ গড়েছে যাতে ভবিষ্যৎনিরাপদ রবে,
নইলে জীবন বৃথা হবে।
সামাজিক বিধানে সংসার গড়বে
মাতা পিতা স্ত্রী পুত্রে আনন্দ পাবে
সংসারের কর্তা যিনি, কর্তব্য কঠিন হবে
সে সব গুণের অভাব যার
সুষ্ঠু জীবন চর্যায় প্রভাব তার
সংসার ক্ষেত্রে শান্তির বাণী কাঁদবে নীরবে,
নইলে জীবন বৃথাই হবে।
শান্তির সংসার কেবল তারাই পাবে
পিতা মাতায় সুষম কর্তব্য যে পালন করবে
সংসারে যার যা পাওনা সম ভাবে দেবে
বাকি থাকলে ফাঁকির খাতা
অনন্ত কাল থাকবে যা তা
তাই সুষ্ঠু পাওনা কড়ায় গন্ডায় দিতেই হবে,
নইলে জীবন বৃথা হবে।
বাস্তব জীবনের সুখ সকলকে সমান দেবে
দারা পুত্র পরিজনকে যথাযোগ্য ভাবে
প্রতিবেশির পাওনা পরে, নেবে কর্তব্য হিসাবে
মানবেতর সব স্রষ্টার সৃষ্টি
রাখবে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি
যে না করবে তাকে জবাব দিহি করতে হবে
নইলে জীবন বৃথাই যাবে।
ক্ষুদ্র পিপিলিকা থেকে শক্তিধর জীবে
সকলের প্রয়োজন রয়েছে এ ভবে
কেউ হেয় নয়, একে অন্যের অভাব পুরাবে
সবাই মিলে এক যৌথ সংসার
বিচ্ছিন্ন হলে হবে ছারখার
আপৎ কালে একে অন্যের দুঃখ ঘুচাবে
"মানুষেরজন্য মানুষ"বুঝলে শুদ্ধ হবে,
নইলে জীবন বৃথাই হবে।
'সকলের তরে সকলে আমরা' এ ভবে
" সৃষ্টি লগ্নে যা যা ছিলো, কম বৃদ্ধি নয়"তবে
চক্রাকারে "ট্রান্সফরমেশন" হচ্ছে এবং হবে
আসা যাওয়ার নিয়ম নীতি
নয়তো শুরু নয়তো ইতি
স্থিতধী প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি দুঃখে সুখে স্থির রবে
" প্রথমে যা নিয়ে শুরু ঘুরে ফিরে সমান হবে "
নইলে, জীবন বৃথাই যাবে।
ঘুর্ণনের এই শুভলগ্নে যেটুকু সময় পাবে
যথাসাধ্য চেষ্টা করে কর্তব্য পালন করবে
সবার কর্তব্য নির্দ্ধারিত আছে অনেক পূর্বে
পালনে করলে অবহেলা
আসবে যখন প্রাহ্ণবেলা
কর্তব্য কর্মের হিসাব এলে নিকাষে ধরা খাবে
না 'হলে জন্ম বৃথাই যাবে।