জগতের মাতৃগণ
মাথায় করি শ্রীচরণ
আমার চোখের জলে চরণ ধোয়াই।
তাদের চোখের জল
মোছাতে যেন হই সফল
সকল সন্তানের কাছে সেই ভিক্ষা চাই।
সযত্নে যে পিতৃধনে
ধারণ করেন সন্তর্পণে
বিন্দু বিন্দু রক্ত দানে বৃদ্ধি করেন দশমাস।
সে মায়ের রক্ত ঋণ
শোধ হয় কি কোনোদিন!
সেই সর্বংসহা জননীর দুঃখ করতে নাশ।
সংসারের ধরতে ধ্বজা
যিনি সাজেন দশভুজা
তিলে তিলে গড়ে তোলেন সুখের সংসার।
নিজের সুখ করি তুচ্ছ
পরিজনের কাছে স্বচ্ছ
আপন ভেবে সকলেরে যত্ন করেন দুর্নিবার।
পিতৃগৃহ করেন ত্যাগ
সমাজের এই বিভাগ
"পরের বাড়ি " আপন করতে হয়।
ছেলে -মেয়ে জন্ম দান
চিরন্তন এই বিধান
সন্তান গণ মায়ের নাকি নয়!!
জিজ্ঞেস করুন জনে জনে
তুমি কার ছেলে বা কার কনে?
বাবার নামে বংশের গৌরব বাড়ায়।
মায়ের কোন হদিস নাই
কি দুঃখ, এ কোন বালাই
দুঃখিনী মায়ের দুঃখ অ -কুলে হারায়।
কন্যা কালে পিত্রালয়
যৌবনে স্বামীর আলয়
বার্ধ্যক্যে পুত্রের কৃপায় যদি স্থান থাকে।
" কুপুত্র যদিবা হয়
কু- মাতা কদাপি নয় "
দয়ার পাত্র হয়ে কখনও থাকতে হয় মাকে।
জিজ্ঞেস করি, সমাজপতি,
মায়ের কেন হেন গতি?
সৃষ্টি কর্তা সৃজন কালে ভাগ করেছেন কি?
বাবার হবে পাকা বাড়ি
মা ঘুরবেন বাড়ি বাড়ি
আশ্রয়ে খুঁজবেন বঙ্গমাতা "যেন কাজের ঝি!
শুনুন বলি সার কথা
মা 'দের কাছে আছে বার্তা
পিতা -মাতা সমান ভাবে বাড়ির মালিক হবে।
সন্তান যেমন উভয়ের
বাকী কেবল সময়ের
সব কিছুতে সমান , মায়েরা ভাগ বুঝে নেবে।