অর্থের জোরে মাতৃগর্ভ চিড়ে বেরিয়েছি আমি
সেই থেকে অর্থের টান প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি
দুর্বল মেরুদন্ড নিয়ে জন্মেছি আমি
তাই অর্থকে ভালোবেসে সেই দন্ড শক্ত করতে চেয়েছি
টাকাই বাবা টাকাই মা এই কথা ভোলা যায় না
কারণ নর নারায়ণরূপে সর্বত্র তার দর্শন পেতে ভুল হয় না
পুত্র পিতার বাক্য শ্রবণ করে না পিতাও পুত্রের বাক্য শ্রবণ করে না
অর্থজ্ঞান না জ্ঞানের অর্থ তাহারা করে উঠতে পারে না
অন্নপ্রাশনে নানা আচারের মাঝে পছন্দের কোন একটি ধরতে হয়
সেখানেও অর্থের অজানা আকর্ষণে আমার হাত চলে যায়
জ্ঞান নাই হতে টাকার হাত ধরেছি আমি
এখনও সেই শক্ত হাতের মুষ্টি কেউ ছাড়াতে পারেনি
শিষ্য গুরুর বাক্য শুনে না, গুরুও শিষ্যের কোনো কর্ম করে না
এখানেও কী সেই অর্থজ্ঞান বাধা হয়ে দাঁড়ায় না
হৃদয়প্ৰিয় যাহা কিছু মনোজ্ঞ বস্তু আছে আমার
সেখানেও অগ্রে প্রাধান্য পায় অর্থ আবার
ধনের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে মন আমার চঞ্চল হয়ে উঠে
তখন মর্যাদা প্রাপ্ত নিজ শক্তি বল পাই না খুঁজে
অর্থকে ভাল না বেসে ভৃত্য করতে পারিনি
বরং অর্থের ভৃত্যরূপে সর্বদা আমি থাকি।
সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা