স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ নারী পুরুষ রূপে
ভালোবেসে জগৎ সংসার আছে ব্যোপে
ঘি আর অগ্নি - দুই বর্ণ যদি খেলা করে একসাথে
সেই গর্ভে শব্দের জন্ম হয় মহা আনন্দে
পিতৃ মাতৃ তুল্য দুই বর্ণ ভালোবেসে যতদিন খেলবে এই ধরণীতে
পুত্র কন্যার জন্ম দিয়ে তারা থাকে মহাসুখে
শব্দের খেলা শিশু মনের খেলা
ভালোবেসে কে কোন শিশু নিবে ভাবতে বয়ে যায় বেলা
দত্তক নেওয়া শিশু লালন পালনে বড় হতে থাকে
আর যৌবনে সেও নতুন খেলাঘর তৈরী করে
শব্দের পর শব্দ মিলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে
বংশের ধারা রক্ষায় তারাও চলে এগিয়ে
কুৎসিত পিতা মাতা হয় না জগৎ সংসারে
কুসন্তান জন্ম নেয় তার কর্ম অনুসারে
তাই স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের নেই কোনো কলঙ্ক
কর্ম অনুসারে শব্দ গঠনে সন্তান বুঝিয়ে দেয় যে যার অস্তিত্ব
অক্ষরের খেলা খেলে পিতা মাতা
শব্দ নিয়ে খেলে সন্তান আছে যারা
সেই শব্দ গঠনে এবং তার লালন পালনের ভার
জীবের শ্রেষ্ঠ জীব বয়ে বেড়ায় তার সম্ভার
কর্ম দিয়ে ভাগ্য গড়ি না ভাগ্য দিয়ে কর্ম
এই মীমাংসা বোধহয় অধরা থেকে গেল আজও
কুরুচিকর অক্ষর হয় না
কিন্তু তা দিয়েই কুৎসিত শব্দ বানাই আমরা
শব্দের পর শব্দ দিয়ে করি কু-বাক্য রচনা
আর তাতেই নিজের কুৎসিত মনের পরিচয় পড়ে ধরা
নিজের পরিচয় নিজে দিয়ে আনন্দে মেতে থাকি
আর তাতেই আমি আমার সুখ নামক বস্তু খুঁজে চলি
যৌবনের খেলাঘরে শব্দের সুবাক্য এনে দিবে সমৃদ্ধ
আর আমার যৌবন চিরতরে মিটিয়ে দিবে অসৎ শব্দের বাক্য।



সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা