শুধু,
তোমারই জন্য –
মানবতার বুকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদর।
হাড় হিম্ করা সুশীতল সন্ত্রাস
স্পর্শ করতে পারে না তাকে।
শুধু তোমারই জন্য।
রক্ত জল করা পরিশ্রমে রুক্ষ ধরিত্রীর বুকে
ফলিয়েছিলে সোনার ফসল।
পূর্ণিমার চাঁদ ঝলসানো রুটি হয়ে
ধরা দিয়েছিলো পথ-শিশুটার হাতে।
শুধু তোমারই জন্য।
ইঞ্জিনের কল্-কব্জা থেকে শুরু করে
আরো কত-শত কারিগরী,
কর্মসংস্থান জুগিয়েছিলে
কর্মহীন বেকার সমাজের মাঝে।
জুটেছিলো একচিলতে মাথা গোঁজার ঠাঁই
আর দু-মুঠো ভাত।
শুধু তোমারই জন্য।
জন্ম দিয়েছিলো বিধাতা।
বাঁচিয়ে রাখার দায়টা চাপিয়েছিলো
তোমারই ঘাড়ে।
কত-শত মুমূর্ষূ মানুষ সুস্হ্য প্রাণ পেয়ে
ফিরে গেছে আপন ঘরে।
শুধু তোমারই জন্য।
ন্যস্ত করেছিলে পৃথিবীর বুকে কলমের জোর।
অজ্ঞানতা-অশিক্ষা-নিরক্ষরতার অন্ধকার দূর হয়ে,
ফুটে উঠেছিলো জ্ঞান-শিক্ষা-সাক্ষরতার আলো।
শুধু তোমারই জন্য।