কান্নাড়া লেখক, ড : কালবুর্গীকে হত্যা করার খবরটা যখন কানে এলো ,
তখন মধ্যবিত্ত কবি সত্যব্রত তার কলকাতার ফ্লাটে,
টমেটো কেচাপ মাখিয়ে আলুর চপ খাচ্ছিলেন।
কেচাপ আজকাল সিনেমা - সিরিয়ালে
খুব ভালো রক্তের কাজ করে,
রক্তাল্পতায় ভোগা আসলের চেয়ে ঢের ভালো।
তবে কবিতার বিষয় যেহেতু কেচাপের উপযোগিতা নয়
তাই মূল বিষয়ে ফেরা যাক।
বিষয়টা হলো, যুক্তিবাদী লেখক গোবিন্দ পান্সারে
যখন খুন হন ,
কবি সত্যব্রত সেদিনও ,
টমেটো কেচাপ মাখিয়ে আলুর চপ খাচ্ছিলেন,
এবং যতদূর মনে পড়ে নরেন্দ্র ধাবলকারের হত্যার দিনেও।
কবিরা সংবেদনশীল হয়ে থাকেন , সত্যব্রতও ব্যতিক্রম নন।
তিনি তখন তার মানসী প্রিয়ার নাম লেখা
অর্দ্ধ সমাপ্ত কবিতা
পাশে সরিয়ে রেখে ভাবতে বসলেন,
তার কর্তব্য কি ?
তার এই আত্মত্যাগ কেউ জানলো কিনা ,
তাতে কিছু যায় আসেনা।
কিন্তু কবি সত্যব্রত, দেশের স্বার্থে
টমেটো কেচাপ মাখিয়ে আলুর চপ খাওয়া
আজ থেকে ছেড়ে দিলেন।