আমাদের অন্তরের সৌন্দর্য প্রকাশের উপায় হলো সাহিত্য বা কবিতা । একজন লেখক সেখানে বার্তা দিবে বাক্য অনুচ্ছেদে অপর প্রান্তের মানুষকে । সেখানে থাকবে ভয় , আশা , স্বপ্ন , ভালবাসা ও ব্যক্তিত্ব । সেখানে থাকবে দর্শনীয় শব্দ ও গন্ধ ।
আমি একটা কলম ও কাগজ নিয়ে কিছু লিখব বলে ভাবছি । লেখাটার আক্ষরিতায় মিশানো থাকবে প্রতীকীবাদ । মৌলিক আর যৌগিক শব্দের সংমিশ্রন । যা হবে চিন্তার চেয়েও সহজ । আমার মনে হতাশা আছে । অনুভব আছে । আমি ভাবছিও আমি আরও আরও অনেক দিন বাঁচতে নাও পারি । সেরা ব্যপার হলো । আমি এই সত্য সত্যতার প্রতীকী ভাবনা কাউকে বলতে পারছি না । অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি আমার ভিতরে ঘটতে পারে বা ঘটাতে পারে । তাই এর একটা লেখনি রূপ আছে । সেটিই কবির কবিত্ব সত্তা । আমাকে সে সবি ভাবায় বা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় । আমার কাছে লেখাটা শুধুই শখ না । এটি আমার প্রতীকীবাদ আন্দোলন , আবেগ ও এক্সটেনশন ।
যাই হোক , আমি আমার বাস্তব জীবনের কাছে দায়বদ্ধ । এমন কি বাস্তব পরিস্থিতির কাছেও দায়বদ্ধ । আমি কখনই আমার বন্ধুদের বা অতি আত্মীয়দের সম্পর্কে , এমন কি, আমার পরিস্থিতির সম্পর্কেও অনুভব করি না যে , তাকে মনের মধ্যে সাজিয়ে রেখে মনে রাখব অজীবন । এমন কি ভবিষ্যতেও মনে থাকবে বলে মনে করি না । আমি এও মনে করি না কোন জার্নাল আমার চিন্তা ভাবনা কে ধরে রাখতে পারে । এই ক্ষেত্রে আমি আমার কর্ম-পরিকল্পনা করতে পারি লেখনির মাধ্যমে । যা সহজ ব্যাখ্যায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় । সে সব বিষয়গুলো হলো , আমার ভালবাসা ও আমার চরম ঘৃণার কারণগুলো । তা যতটা ছোট হোক বা বড় হোক । এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল । এই বিষয়গুলো একজন লেখকের প্রাথমিক ক্লাসের হাতে খড়ি । কাগজের টুকরোয় কালির স্থাপন । যা হয়ে উঠতে পারে লেখনী ভ্রমন ।
আমার লেখাগুলো সম্পর্কে অন্যেরা কি ভাবছে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে না , আর তাছাড়া তা থাকার কথাও না ।কারন তারা আমার কবিতা ও সত্যের ইতিহাস জানে না । কিন্তু আমি তো জানি । আমার প্রত্যেকটি কবিতা আমার জীবনের এক একটি অংশ । এবং তার অনুভূতিগুলো অন্যদের তুলনায় আমার বোধের ক্ষমতায় অনেক ক্ষেত্রেই বেশি । তাই আমার কবিতা এবং আমার প্রকৃতি আমার লেখার খনি ।
আমি একটা দীর্ঘ সময় পার করে ভাবতেই পারি । আরও নতুন কিছু লিখতে । বিভিন্ন ধরনের কবিতা । বর্তমান , অতীত এমন কি পৃথিবী নামক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে । মানবতাবাদী ও রূপকবাদের দিকে এক ধাপ এগিয়ে । আমি লিখতেই পারি । মানুষ যেনো মানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করে । যুদ্ধ করে । ধর্ম ও ধর্মমতের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ নিয়ে । কিন্তু এমন ভয় একজন লেখকের থাকা উচিৎ না । তার কবিতার তিক্ত সমলোচনা শুনার ব্যপারে । যা শুনে কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ চলে যায় ।এই ধৈর্য ও নৈতিকা থাকা একজন কবি প্রতিভাকে দৃঢ় করে ।
আমি হয়তো বা কখনও একজন মহান কবি হতে পারব না । কিন্তু একথা সত্য আমি লিখতে ভালবাসি । আমি আমার প্রকৃতি স্বত্ব থেকে লিখি । আমার মানসিক চাহিদাই আমাকে কলম ধরাই । শর্ত ছাড়া ।
তা হলে লেখক লিখেন কেনো ? এটা একটা নিজেকে দেখার আয়না বা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জাদু ।