এক

তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ জানলে
রাতের বাতাসে উড়িয়ে নিতাম-
                                    ঠাণ্ডা পৃথিবী
একশ উষ্ণ-কণা তোমার বিছানায়
                 ঘুমের পূর্ণতায় ছড়াতাম ।

আমি শুয়েই কাটিয়ে দিতাম ভোর বেলা চেয়ে ;
তুমি যদি বলতে, পাঁজর ছিঁড়ে প্রতীক্ষা করতাম

অথচ দুজনেরই কথা ছিল স্বপ্ন দেখার
গাছের ছায়ায় , পাতার নীচে পিঠে পিঠ রেখে ।

অসুস্থ শব্দ পাহাড়ী মেঘে ভাসে
অপেক্ষা করে কবিতা হয়ে নিবে

তুমি তো জানতে-
আমি তো কখনই তোমার
প্রেমিক  হতে চাই নি
যতটা হতে চেয়েছিলাম কবি ।


দুই


ঐ বাতাসে গন্ধ নেই
শুধু আছে পোড়া রৌদ্দুর

অনাহারী নাকে মুঠো মুঠো শ্বাস
মৃত্যুর রঙে নেই কোনো অজুহাত
যা আছে ; গভীর উৎসের পৌরানিক যাত্রা ।

ঐ বাতাসে তাই তুমি আছ
শুধু আছ অনন্ত দুপুর উত্তালে

পাখি আর পতঙ্গ উড়ে , সে নির্বেদ বাতাসে
বেগুনী গন্ধ তাই পদদলিত হয় মাটির নীচে ।

যদি ইচ্ছে হয়
ভেসে এসো বৃষ্টিহীন সংলাপে
সূর্যাস্ত নদীতে সাঁতার কেটে
কবিতার-শব্দ-বসন্ত ঝোলায় ভরে ।

তুমি তো জানতে
আমি তো কখনই তোমার
প্রেমিক হতে চাই নি
যতটা হতে চেয়েছিলাম কবি ।


তিন


বাতাসের ঔরসে প্রসব যন্ত্রণা ,
              আমার জবুথবু একাকীত্বে
একটি স্পর্শ ছাড়া , সব স্মৃতি
                 প্রাচীন অন্ধ দ্বারে দাঁড়িয়ে ।

তোমার কষ্টগুলো এখন বড় আত্মীয় আমার
আমার জীবন বোধে তাঁরা , সত্য ও সহজ ।

বিশাল আকাশের বিষুব পথ ধরে-
                আমি নতুন মৃত্যু খুঁজি
          আহ্লাদিত জন্মান্তরে যেতে
      খুঁজে পেতে শৈশব গ্রীষ্মকাল ।

তাই......
ওখানেই আমার অস্তিত্ব
প্রতি ঘন্টা , সব সপ্তাহ
যা যত্ন করে দিয়েছি তোমায় ।

তুমি শেষ মেষ ফিরালে তা আমায় ।
                    বিষণ্ন কবিতা সন্ধ্যায় ।

           তুমি তো জানতে
           আমি তো কখনই তোমার
           প্রেমিক হতে চাই নি
           যতটা হতে চেয়েছিলাম কবি ।