বাংলা কবিরা গরীব হয় বলেই জানি
তাই নতুন করে স্বপ্ন দেখা হয় নি ।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বাদ নেওয়া হয়নি কখনও
সহজ পাচ্য খাবারে আপস করেনি পেট
ক্ষুধারআর ইতিহাস শ্বাস নিয়েছে বারেবারে জানলা দিয়ে আসা আলোয় ।
চাকার সময়ে ,পালক খসে পড়ে
পাখির গলা থেকে । বুঝতে পারি
চলে যেতে হবে
থেমে যেতে হবে
আইসক্রিমের গলা-পচা রসে ,
ভালবাসা যত পেলাম
কলঙ্ক হয়ে ,পকেটে রয়ে গেল,
দু চার ফোঁটা
কালি হয়ে বয়ে গেল কাব্যগ্রন্থে
স্বপ্ননীল কভার পেজের প্রচ্ছদে ;
বাগনের অচেনা নাকফুল হয়ে ।
তাই আর ছুটাছুটি করি নে
চেষ্টা নেই বাঁচার স্বভাবগত ,
অনেক সম্ভাবনা কে
কাগজের মত ছিঁড়েছি উড়িয়ে
ঠিকানা বা চিঠি মত
ছেঁড়া কাগজগুলো,কাগজ ছিল না
আমার সুখ-দুঃখের
নাবালক হৃদয় ছিল ।
একটা অসম্ভব অপ্রত্যক্ষ ধিক্কার
আপন সততায় মরা আলো হয়
ছায়ার দেয়ালে গতর ব্যথা যুদ্ধে নাচে
কত কাল হলো অভ্যস্ত সে সৈনিকে
আজও আমি দাঁড়িয়ে মাঠে ।
বয়সের সাথে সাথে
আমি যেনো আরও ক্ষ্যাপামী
ভালবাসা আর যুদ্ধ
এই প্রথম দেখলাম সন্ধি করতে ।
ভুল বোঝাবুঝি এ সংসার
অবিবাহিত বয়ে গেল ।
তবুও কে যেনো টানে
ভাটার মত সাগরের ঐপাড়ে ।
আমি যে শহরটায় জন্মেছিলাম
আমার মায়ের প্রসব ব্যথায় ,
সে শহরটা আজ মরে গেছে
চোখ থেকে , মাটি থেকে
পাহাড়ের এ পাশে আমি
যত চেনা পচা গন্ধ ওপাশে
শহরটা মৃত ,আমার অশ্রুহীন
দুই পল্লব গাছের শাখে মরা পাতা
শেষ চৈত্র আমার উরুর মাংস পেশি
প্রলাপ বকে ।
আমার কোন জন্মভূমি নেই
আমার কোন প্রতিবেশি নেই
আমার কোন চেনা পাখি নেই
আছে একখানা আদিম হাড়ে’র বাঁশি
যার গান শুনে বাংলা বেঁচে আছে
গরীব কবিদের কবিতা অনুকম্পে ।