কবিতা তুমি সময়ের দাবি
মনের প্রকাশে তালা খোলা চাবি |
কখনো বিষাদে কখনো হর্ষে
লেখনী থেকে কালি বর্ষে  |

তোমার আমার সবার প্রকাশ
গর্জে উঠে হয় কবিতার বিকাশ |
কখনো তুমি লাগামছাড়া
আবেগে আবেশে মনের  এ পাড়া ও পাড়া |

কখনো তুমি নিজের খোঁজে
আবিষ্কার করো চোখ বুজে |
কবিতা তুমি সাময়িক নও
শৈশবে যৌবনে মৃত্যুতে চিরস্থায়ী হও |

কবিতা তুমি দ্রোহ ভরা প্রকাশ
কখনোবা ভালোবাসার দূর আকাশ |
মনের ভিতরে যা কিছু জমা
মানে না কোনো দাড়ি কিংবা কমা |

কবিতা তুমি নদীর পাড়ের স্নিগ্ধ পরিবেশ
মনের অলিন্দে উঁকি ঝুঁকি  অনাবিল আবেশ |
নির্জন গভীর মনের ভিতরে আনে হাসি
বাজায় অদৃশ্য কাল্পনিক আনন্দের বাঁশি |

কখনো ভীষণ দুঃখে কেউ বা গুমরে কাঁদে
কবিতা এসে হাজির হয় খানিক বাদে |
কবিতা তোমায় বাঁচতে শেখায়
দিশাহীন কে দিশা দেখায় |

অন্ধকারে আলোর ফালি
কখনো করবে না মন খালি |

কবিতা ভাবকে ভাবনায় আনে
ঠিক যেন নদীর এলোমেলো বানে |
কবিকে বলো না কলম ছাড়ো
হাজার কবিতা তৈরি হবে আরো |

কবিতা তুমি প্রাসঙ্গিক
সুদৃশ্য দৃশ্য পটে নান্দনিক |
কাটা ছড়ানো পথে তুমি জঙ্গম
অশান্তির আগুনে শেখাও সংযম |

হারানো পথ কিংবা বিচ্যুতি
সর্বত্রই তোমার ইতি উতি |
কবিতা তুমি মৃত্যুহীন প্রাণ
সব হারাদের তুমি ত্রাণ |


কবিতা তোমায় বাঁচিয়ে রাখবে
যতদিন সভ্য আর সভ্যতা থাকবে |
আমরা হয়েছি ধন্য
শুধু কবিতার জন্য |