শহরের ওই প্রশস্ত রাজপথ
কিংবা চেনা ব্যস্ত রাস্তার গলি,
এরাই সাক্ষী, তোমার আমার প্রেমে
তোমার জমানো মনের কথাকলি।
স্তব্ধ দুপুরে অপেক্ষারত আমি,
ঘেমে যাচ্ছি প্রবল কৌতূহলে।
ঘড়ির কাঁটার ছেলে খেলা শুধু করে,
এক পা এগিয়ে, দুই পা পিছিয়ে চলে।
তোমার আসার অনেক খানি দেরি।
প্রতীক্ষাতেই জীবন আমার সাধা ।
আসছো তুমি তোমার খেয়াল হলেই,
নেই তো তাতে এক-টুকুও বাধা।
যদি এরূপ কোনদিনও হয়-
আমার আসতে একটু শুধু দেরি,
অভিমান সব স্তূপীকৃত হয়ে
রাগের পারদ করবে বাড়াবাড়ি।
ওই রাগেতেই ভস্মীভূত হবো।
দেরির কারণ শুনবে নাতো তুমি।
রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা কেবল বৃথা
প্রবল দোষের অপরাধী আমি।
তাতেও আমার নেইকো দুঃখ মনে
থাকতে যদি সারাজীবনময়-
বলোতো এখন কি করে ভাবি আমি?
সেই তুমি আর, আমার তো আর নয়।
মনের ভেতর ভর করে সব ব্যাথা
সঙ্গে আছে অদ্ভুত এক ভয়।
সত্যি যদি সুখেই থাকো তুমি
বুঝি না তা জয় না পরাজয়?
মধ্য রাত্রে হঠাৎ ভাঙায় ঘুম
তোমার ছবি স্মৃতিতে করে জড়ো।
কেনো তুমি নিশি স্বপ্ন হয়ে,
এখনো ব্যাথা দিচ্ছো মোরে আরো?
আমার কথা রাখবে বলো তুমি
একটা চিঠি লিখবে আমার নামে,
আমার দেওয়া সুখ দুঃখ ভরে
পাঠিও তুমি স্বপ্ন মাখা খামে।
যাওয়ার কারণ পাইনা আমি খুঁজে
একটা একটা মাপবো চিঠি খুলে।
সুখ দুঃখের কোন পাল্লা ভারী?
চলে গেছ আমার কোন ভুলে?
সেই চিঠিতে তোমারও ঠিকানা দিও।
কি জানি বিধাতা কি লিখেছে ভাগ্যে আমার?
চিঠিটা নেওয়ার লোকই যদিনা থাকে,
রাস্তা রেখো চিঠিটা ফেরত যাওয়ার।
চিঠিটা নেওয়ার লোকই যদিনা থাকে,
রাস্তা রেখো চিঠিটা ফেরত যাওয়ার।