সারাক্ষন বই এর পাতায়
মুখ গুঁজে রাখলেই কী প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা যায়?
পরনে দামী পোষাক আর গায়ে
সুগন্ধি মাখলেই কী কেউ ভদ্র হতে পারে?
হয়তো সদ্য শেখা দু-চারটি
ইংরেজি বুলি আওড়ালেই কী কেউ সত্যি কারের মানুষ হতে পারে?
এই প্রশ্ন গুলোই যেন বারবার,
আমার মনের দরজায় কড়া নাড়তে থাকে যখন;
আমি দেখতে পাই শুট ,কোট পরা,
সমাজের তথাকথিত শিক্ষিত ,ভদ্র লোকটা
রাস্তার পাশে ছেঁড়া,ময়লা পোশাক পরে
পড়ে থাকা ছোট্ট ছেলেটাকে মাড়িয়ে চলে যায়।
ফিরে তাকায় না একবারও।
যখন দেখি বাস বা ট্রেনের কামরায়
একটু খাওয়ার চাইতে আসা,দুদিন খেতে না পাওয়া,
ক্ষুধার্ত শিশু টাকে নিয়ে তারা হাসি-ঠাট্টা করে।
দুটো টাকা বা কিছু খাওয়ার দেওয়ার পরিবর্তে তথাকথিত ভদ্র ও শিক্ষিতরা,
তাদের বেঁচে থাকা নিয়েও প্রশ্ন করতে পিছুপা হয় না।
মাঝে মাঝে দু-চারটে ইংরেজি বুলি প্রয়োগ করে,
তাদের ইংরেজি শেখার মাহাত্ম সবার কাছে তুলে ধরে।
গ্রীষ্ম,শীত বা বর্ষা;ওই ফুটপাত টাই তো তাদের আশ্রয়স্থল।
পুজো-পার্বন হোক বা কোনো উৎসব;
ওই ছেঁড়া ময়লা জামা টাই তাদের একমাত্র ভরসা।
ভাগ্য তো আর সবাই কে সাথ দেয় না,
তার হয়তো শুট বুট পরা ভাগ্যে নেই,
কোনো পাঁচতারা হোটেলের ঠান্ডা ঘরে বিরিয়ানি খাওয়া তার স্বপ্ন,
তাই আজ সে দুটো খাওয়ারের জন্য সবার কছে হাত পাতছে।
হয়তোবা শীতের কবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে
একটা পোশাক চাইছে।
তার এমন অবস্থার জন্য সে তো দায়ী নয়
তবে কেন তাদের নিয়ে এত উপহাস,হাসি-ঠাট্টা?
এটাই কী শিক্ষা নাকী ভদ্রতার পরিচয়?
এরা কী সত্যিকারের মানুষ নাকি,
মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা স্বার্থপর অমানুষের দল?