মহাকালের মুহুর্ত-সৈকতে,
জীবন আলপনা আঁকে;
বারেবারে কালের করালকল্লোল
তাকে নিঃশেষে মুছে ফেলে।
তেমনি বেঁচে থাকার ভুলে,
মন আমার আঁকছিল কিছু জলছবি তোকে নিয়ে;
দুষ্ট ছেলের মতো বুদ্ধি এসে
সেগুলোকে দিচ্ছিল নষ্ট করে।
হৃদয় আর হৃৎপিন্ডের চুলোচুলি গিয়েছিল বেঁধে ,
(দূর ছাই!) ক্লান্ত হয়ে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে
দেখি;আমার ঐ আকাশের চাঁদ তারা সূর্যে
বন ,বিজন ,ধূলো, বৃষ্টি ,আলোঅন্ধকারের ব্যাপ্তিতে
তুই আছিস মিশে।
তারপরই চমকে জেগে দেখলুম তোকে
রাস্তার ঐ আবছায়ে,
নিতান্তই এক ভীড়লোকোর মতো হরিয়ে যেতে ভীড়ের মাঝে।
ঐ যে অচেনা পাখি ,
বাসায় ফিরে এসে নিশ্চিন্ত ঘুমের আয়োজন করছে-
মনে হয় তুই যেন সেই পাখি --
এখন রাত ঢের ,
পাখি দরকারি আঁধারে মিথ্যে হয়ে গেছে।
সসঙ্কোচে , অক্ষমতায় ম্লান ,ক্ষীন স্বরে
বললাম নিজেকে, ' ভালোবাসি তাকে'
বলতেই, কল্পনাস্থ আবেগ ডানা মেলে দিল নিখিলে
এই সব প্রেম ভালোবাসাকে উৎকট পরিহাসে স্তব্ধ করে দিয়ে।
তবু
ভোরের আলোয় রাত্রের গন্ধ মিশে থাকে,
বিদায়গাথার ব্যাথায় বাজে আগমনীর সুর।
অস্তিত্বের সাদাকালো বস্তুগত বাস্তবের মাঝে
প্রানের স্পন্দন রকমারি রঙিন ছবি এঁকে চলে।
পাবনা জেনেও , ভালোবাসি তোকে।
মিথ্যে সুখে মন আকাঙ্খার অলীক স্বপ্ন দেখে।