সারারাত একটানা বৃষ্টি পড়ছে - রুমঝুম।
পৃথিবীর মানুষগুলো গেছে সরে - বহুদূর।
গুহাবাসী যেন; আমার চিন্তাধারায় প্রাগৈতিহাসিক বর্ষার রাত। পৃথিবীর প্রাচীনতম, একাকীতম আঁধার
ঘিরেছে আমায় আজ ।

যত ইচ্ছে ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিল একদিন
গোত্তা খেয়ে পড়ে আছে মাটিতে। নিথর। মৃত।
সাধের রঙিন স্বপ্নগুলো প্রেত হয়ে ঘুরছে আমার
অবুঝ আবেগের শশ্মানে। আকাশ বাতাস ছেয়ে আমার চেতনা জুড়ে বিষাদ ঝরছে।ধীর লয়ে।


যেদিকে তাকাই সামনে বা পেছনে , কঠিন নীরবতা
  দেখছি শুধু। দেখছি আমায় গ্রাস করছে স্থবিরতা।
বাইরে ধারাপাত ।ঘরজুড়ে আমার থমথমে শূন্যতা।

মন, রাতের নদীর মতো স্তব্ধ। তবু অতিধীর স্রোত তাতে।
বহুদূর আকাশের মৃত নক্ষত্রের ছায়া তার জলে। তারা তিরতির কাঁপছে। দেখছি তাদের শীতল চোখে।
বড়ো অসহায় লাগছে, বাস্তবতা ব্যর্থ করেছে আমাকে।
বোধ শুধু আমার রিক্ততা জানান দিচ্ছে।
কার অস্ফুট ব্যাথানাদ ঢাকছে গাছের শীৎকারে।

আমি  বহুদিনের মাটির গভীরে গর্ভস্থ পাথর যেন।
যে পৃথিবীর আলো দেখেনি কোনোদিন।
জীবনের নরম স্পর্শে ক্ষয় হয়ে ফুলের ভেতর সে আর কখনো হবেনা বিলীন।

আমার সমস্ত জুড়ে শশ্মানের স্তব্ধতা আজ।
আর বৃষ্টির  রিমঝিম।