দিনের পৃথিবীকে রাতের আঁধার আড়ালে যখন ঢাকে
কোলাহল থামিয়ে রবীন্দ্রসরণী যখন ঘুমায় নিঝুমে
মশকপাহাড়ের উপর চাঁদ যখন ঝলমলিয়ে হাঁসে
সহজ বোধ তখন ঘোলাটে হয়ে আসে
বাস্তবতাকে তখন মরা স্বপ্ন গ্রাস করে
হারানো বিকেলের ধূসর স্মৃতি হাতছানি দিয়েডাকে
আহত স্মৃতি অবুঝ চাওয়া ভিড় করে আসে মনে
ভীষণ মনে পড়ে তাকে নীরব নিশার সঙ্গোপনে
ছাতিমের গন্ধ ভরা হিমেররাতে, রাঙা স্বপ্নে
শরতের শিশিরে, খ্যাপা হাওয়ায় শালের বনে
মাতাল ভালোলাগায়, জোৎস্নার হলুদ আকশে
হঠাৎ মনখারাপে একদিন খুঁজেছিলাম যাকে
সেই কিশোরীওঠের মিঠা মদের তৃষ্ণাজাগে চাতক প্রানে
বালাপরা সে হাতের লাগি নিখিল ছেয়ে বিষাদ নামে
কবেকার কিশোরবেলার করুন রাগে হৃদয় খুঁড়ে ব্যাথা বাজে
মরা আশার বৃথা ক্ষোভে অবুঝ মন ফুঁপিয়ে ওঠে
দূরআকাশে মৃত নক্ষত্রের আলো মিটিমিটি হাসে
গাছের পাতা হিমেল হাওয়ায় তিরতিরিয়ে কাঁপে
সারারাত ধরে, কান্নার মতো সুখে
রাতের চাঁদ দিনের গহীনে হারায় ম্লান হাসি হেসে।