ক্ষয়িষ্ণু ভালোবাসা

শিশুকালে ডালা খুলেছি ভালোবাসার,  
মনের অজান্তে সোনালী মোহর দিয়াছি
নিরর্থক ভাললাগায়।  
মেরুদণ্ডের ক্ষিপ্ত তরঙ্গে, কম্পিত  
ভালোবাসার সুপ্ত কলি গুচ্ছ    
পড়তে পড়তে, ভালোবাসায় রঙ নিয়েছিল।
গোপন যৌন গিরিপথে ভালোবাসার  
গালিচায় মণ্ডিত ছিল মনের রঙধনু।
উন্মুক্ত ভাবনা গুলো যেন, একগুচ্ছ
স্বপ্নিল ভালোবাসায় রূপান্তরিত শিলা হয়ে
আঁকড়ে ধরেছিল বুকের পাঁজর পিঞ্জর।  
রঙিন প্রজাপতি থেকে কমল গোলাপ,  
সবই যেন ভালোবাসার সিন্দুকে ঠাই নিয়েছিল।  
সংসারে, সঙ্গিনীর কর্কশ সভ্যসাচি বচনায়ও  
পেয়েছিলাম ভালোবাসার নির্জাস ভ্রূণ।
নিষ্পাপ সন্তানের অবুঝ বায়নায়
ভালোবাসার ভাণ্ডার লুটেছি অকাতরে।
ষোড়শীর অঙ্গ শিল্পে আজ্ঞাত ভালোবাসা,    
চোখের পলকে হারানো বিজ্ঞপ্তি ছেপেছে
অব্যাক্ত প্রান্তর তরুপরে।
পড়ন্ত বিকেলে, তরুনির গোপন কামনার
ঠোঁট মুচলেকা,  
কেড়েছিল ভালোবাসার শুক্র বহর।  
প্রেয়সীর লাজুক কাঙ্ক্ষিত অপসারণেও ছিল
ভালোবাসার মাদকিও আবেশ।
কবিতায় না বলা অনুভূতির মেঘমালা
আমার ভালোবাসা দাবি করেছে ।
কখনো, নুতন চকচকে গাড়ী  
লাল ইটের একাকী পরিপাটি বাড়ি,  
আকাশ পথে ভিনদেশে আনন্দ যাত্রা,  
সবই যেন শেষ ভালোবাসা ছিল !
তবুও অতৃপ্ত স্বাদে,
প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে আমার ভালোবাসা !
কখনো, রঙ্গমঞ্চে উৎসুক জনতার করতালি,
পত্রিকার পাতায় একক প্রচ্ছদ,
উচ্চধনীদের পাড়ায় একখণ্ড জমি,    
পরকীয়ার গুপ্ত স্বরলিপি অথবা  
নুতন টাকার প্রসারিত মাদকিও গন্ধ
ভালোবাসা বদলের এমন দাহ্য উপকরণ,
বিক্রিয়া উনুনে মস্তিষ্ক জ্বালে অবিচারে অবিরত।