একটি প্রশ্ন  


ষোড়শীর বুকে ঠোঁট গুঁজে, নগ্ন করিনি দেহ  
পর পুরুষের রোমশ বুকে দ্যাখেনি আমারে কেহ !  
কোমল রানীর গোপন অঙ্গে আঁচর কাঁটিনি কভু
তবু কেন আজ যৌনস্বাদে বঞ্চিত আমি প্রভু ?

সমাজে অন্ধ কিনারে দাড়ায়ে অতিপাত করি দিন  
কর্তা বাবুর সম্ভ্রম শালায় বন্ধকে রাখিনি ঋণ !  
তাচ্ছিল্লের তাজ পরে শিরে, প্রান জ্বলে নিভুনিভু  
তবুও আমার অপরাধ কি তোমারে সুধাই প্রভু ?

খেলার সাথীরা পরিবার ত্যাগে বিব্রত রয় সদা
দর্শনে সব কর্তা বাবুরা লেলায় ক্ষিপ্ত পেয়াদা !
অঙ্গ আমার চীর আবৃত, উদাম করিনি কভু    
তবুও আমি অস্পৃশ্য কেন, তোমারে সুধাই প্রভু ?  

একটু বাদে সবইতো আমার সকলের সাথে মেলে
সেই অজুহাতে বিশ্ব আমায় আঁধারে দিয়েছে ঠেলে।  
কূলপাত খুঁজে অস্থির আমি, পাড়ে খাই হাবুদুবু  
পৃথিবীতে আমি ভাসমান কেন তোমারে সুধাই প্রভু ?  

দিনের আলোয় ঘৃণ্য আমি, কাছে আসা অপরাধ  
নীরবে একাকি আড়াল করেছি, শত সহস্র অপবাদ ।
বিচারালয়ের কড়া নাড়িনি, পাছে লাজে রয় রিপু  
আমার কষ্ট কে লঘিবে, তোমারে সুধাই প্রভু ?  

কালের ভ্যালায় আড়াল হয়েছে প্রানপ্রিও পিতা মাতা  
চাঁপায়েছে বুকে পাহাড় সমান, সমাজ বাঁধন ব্যাথা !    
দিবালোকে আমায় ছুঁয়ে দ্যাখেনি, আদর করেনি কভু    
তাঁদের কিসের অপরাধ ছিল, তোমারে সুধাই প্রভু ?

পূর্বস্মরির লাশ দূরে রেখে নীরবে দেখেছি দাড়ায়ে  
পারিনি ছিটাতে একটুও মাটি, আমার দুহাত বাড়ায়ে।  
চোখের জলের স্রোতে ভিজেছে, আমার তিক্ত বপু  
লাশের দোষের মাত্রা কোথায়, তোমারে সুধাই প্রভু ?  

আমিতো আনাড়ি শিল্প জানিনা, বেসুরে গড়েছি ঘড়  
জগত সবারে আপন করেছে আমারে করেছে পর ।  
তুমিতো শ্রেষ্ঠ কলা কারিগর ত্রুটি নেই একচুল  
তবে কি প্রভু, আমিই তোমার শিল্পকলার ভুল ?