পাষাণ


সদ্য ফোঁটা গোলাপ ছিঁড়েছি
দানবের মতো হাত কাপেনি !  
নগদ ভূমিষ্ঠ শিশুর মুখ চেপে
বন্ধ করেছি তাঁর শান্তির ঘুম
ভাঙ্গার প্রতিবাদের আর্তনাদ ,
হৃদয় কাদেনি একবারও ।
দক্ষিণের আগন্তক হাওয়ার মুখে
সজোরে বন্ধ করেছি জানালার
জল্লাদ কপাট, ভেবে দেখিনি,  
ঐ নির্মল হাওয়া কেমনে কেঁদেছে !
প্রভাতের সূর্যাদয়ে দাড়িয়ে রাতের
অন্ধকারকে দিয়েছি বাহবা,
নির্বাসনের হুমকি দিয়েছি নুতন আলকে,
এক ফালি দাগ দেখিনি বুকের আয়নায় ।    
হাতুড়ির অন্যায় আঘাতে চূর্ণ করেছি
হাজার বছরের স্মৃতির ফলক আর    
সৃষ্টি সাক্ষী পাহাড় সারি,
অনুভূত হয়নি অন্তরে ভূমিকম্প, এমনকি  
এক বিন্দু শীতল রক্ত ক্ষরণও দেখিনি সেখানে !
ষোড়শীর উদার্থ চাহিদায় কুৎসিত  
সংযতির প্রলেপ ঢেলেছি,
দ্বিপাক্ষিক দেহ কান্নায় মন গলেনি একটুও!  
চলমান উচ্ছল ঝর্ণার বুকে খুঁটি পুঁতে
রুদ্ধ করেছি প্রকৃতির চলার পথ, তখনো    
শ্বাস প্রশ্বাস আমার স্বাভাবিকই ছিল !  
অথচ,  
তোমার সামান্য উপেক্ষায় আজ দিশেহারা,  
হৃদয় আগ্নেয়গিরি উত্তাল খরস্রোতা নদী
হয়ে বন্ধ করেছে হৃদপিণ্ডের স্পন্দন,    
অদৃশ্য জমাট কষ্টে পাঁজর ভাঙ্গা নীরব কান্নায়
নিজেকে খুঁজে ফিরি স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে ।