তুমি ঘুমিয়ে আছো নিবিড় অন্ধকারে, একাকিনী-নিরালায়
হয়তো তোমার শরীরে আক্রমণ করেছে ব্যাকটেরিয়া
শ্যামবর্ণের মুখমণ্ডল হয়ে উঠেছে, নীলাভ-গাঢ় বেগুনি
চিকন-চাকন দেহখানা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে- তরমুজের মতো
হয়তো বা তোমার বক্ষ যুগলে করে নিয়েছে কীটেরা আবাস
পায়ের আলতা মুছেছে, লিপস্টিক শুকিয়ে চুপছে গেছে ঠোঁট
লাজুক লাজুক চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে গেছে- চিরতরে
দীঘল চুলে গুঁজে দেয়া ফুলগুলো ঝরে পড়েছে- একে একে
তোমার অভিযোগ ছিল, তোমায় ভালোবাসিনি কখনো
কিন্তু এ উদসীনতায় ছিল তোমার প্রতি আমার সমর্পণ
তুমি ভাবতে, মোটেও সুন্দরী নও। এ নিয়ে কত আক্ষেপ
অথচ তোমাকে যখন শেষবার দেখেছি- তখন মনে হয়েছে,
তুমি কল্পনা জগতের ফুলপরী- দূরাকাশের নক্ষত্রের মতো
তুমি চলে গেলে অভিমানে- একবারও ভাবলে না, আমার কথা
আমি আজ দুর্বল-নিঃসহায়, হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছি বারবার
এখন বুঝছি, তোমার ভালোবাসা ছিল আমার পথ চলার শক্তি
তুমিহীনা এ সংসার- আমার নয়। তাই আমি কালের প্রবাহ ভেঙে
তোমার সমাধির পাশে খুঁড়ে চলছি, আমার সমাধি
১১-২৯-১৬, ঢাকা