(জীবনানন্দ দাশ শ্রদ্ধাস্পদেষু)
আমি বারবার আসিব এই বাংলায়—ডানা মেলে পাখি হয়ে
বক-পানকৌড়ির বেশে কুয়াশা ভেঙে উড়িব সুদূর আকাশে
পেঁচা-বাদুড়ের মতো সারারাত কাটাবো—মৃদু হাওয়ায় ভেসে
অথবা মাছ হয়ে—টেংরা-পুঁটির বহরে শ্যাওলা ঢাকা জলাশয়ে
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে রূপালী ইলিশের ঝাঁকে আমাকে-ই পাবে
—এই নদীমাতৃক বাংলায়।
আমি—বারবার আসিব ফিরে শাপলা-শালুকের এ দেশে
গাঁদা-কদম; কচুরি-কাশ হয়ে ফুটে রব—বর্ষা-শরৎ-শীতে
অথবা সর্ষে ক্ষেতে ছুটে যাবো—রঙিন প্রজাপতির বেশে
ঘাসের শাখায় শিশির বিন্দু দলিত করব ফড়িংয়ের পায়
কিংবা জঙ্গলে শিয়ালের দলে মিশে—খেলিব পূর্ণিমায়
—মানবরূপে নয়
হাজারো প্রাণী হয়ে বারবার আসিব ফিরে—এই সবুজ বাংলায়।
২০০০, কোটালীপাড়া।