বিধর্মী বাউল বাবা,
গান ধরো আজ-
হোক
ধর্ম নিয়ে দু’চার কথা।
ঠিক-বেঠিক এর
সুর পেরিয়ে,
ধর্ম টা কি?...
বোঝাও সেটা!
বাউল আমি ধর্ম বুঝি না...
ওর মর্মও বুঝি না...
আমি জল পিপাসায়
রোদ-বিরেদে,
পানি মাগি
তোর কুয়াতে!
আমি ধর্ম বুঝি না...
ওর মর্মও বুঝি না...
আমি আল্লাহ্ বলি
তোর বেদনায়,
কৃষ্ণ বলি
প্রসব ব্যথায়
আমি ধর্ম বুঝি না...
ওর মর্মও বুঝি না..
আমি রামরে শুধাই –
রহিম কোথায়,
আর চক্ষু জ্বলে
ওদের ব্যথায়।
আমি ধর্ম বুঝি না...
ওর মর্মও বুঝি না...
বিধর্মী তবে
ভাগ-বাঁটোরা
ধর্ম নিয়ে!!
কে শেখাল?
রাম-রহিমে
রক্তে কেনো হাত রাঙালও?
বাউল আমি,
এর কারণ বুঝি না...
ওরা কেন বারণ মানে না...
ওরা এক
আকাশের নীচে বসে
গণ্ডি টানে
দেশে-দেশে!!
আমি,
এর কারণ বুঝি না...
ওরা কেন বারণ মানে না...
ওরা ভাইকে মেরে
হাত রাঙ্গাবে,
কোন ধরমে
মুখ লুকাবে!!
আমি,
এর কারণ বুঝি না...
ওরা কেন বারণ মানে না...
বিধর্মী আমরা নাকি সভ্য জাতি!!!
হায় রে মানব...
সভ্য-রুপী কার বেসাতী
আঁকড়ে ধরি?
কোন আসুরিক শক্তিবলে
কামড়ে মরি?
ঘর তো ছিল
তোমার-আমার এক পেয়ালায়!!
কোন কাঁটাতার ভাঙ্গল সে সুখ
এক লহমায়?
বাউল আমি তোদের কর্ম বুঝি না
সারমর্মও বুঝি না...
তোরা যা খুশি তাই
কর রে গিয়ে
ধর্ম বোঝার নাম ভাঙিয়ে!!
আমি তোদের কর্ম বুঝি না
সারমর্মও বুঝি না...
তোরা মন ঠকিয়ে
মন বসালি
আর পুণ্যে ভরাস
পাপের থলি!!
আমি তোদের কর্ম বুঝি না
সারমর্মও বুঝি না...
আমি তোদের কর্ম বুঝি না
সারমর্মও বুঝি না...
আমি তোদের কর্ম বুঝি না
সারমর্মও বুঝি না...
[গানের বা ছড়ার ছলে আমি আমার বিধর্মী সিরিজ শেষ করলাম।
কবিতাটি দীর্ঘ, তবে আশাকরি সক্কলের ভালো লাগবে।]