নির্জন প্রবাল দ্বীপের একাকী অধিবাসিনী
ব্যবচ্ছেদের সব টুকু অভিমান নিজের মধ্যে আগলে রেখে
যে দিন চলে গেলে নির্বাসনে, আমার কি সাধ্য ছিলো
তোমাকে আটকে রাখার-
নিশিক্লান্ত প্রহরের বিনিদ্র চাতক আমি
ভোরের শিশির জব্ধ তৃণের মত
অশ্রু সজলতা বিনে-
কি আর আছে আমার?
তোমার মনস্পুত কথা মালার অন্তরালে
পুঁতে রাখি স্মৃতি আপ্লুত দুঃখি পদাবলি, মতান্তরের স্লোক;
হা ভুক শকুনের শূন্য চোখ
নিন্দুকের নজরদারি  ফাঁকি দিয়ে
আজো ডুবে থাকি তোমার নিকুঞ্জ প্রেমে।
হায় নিশি জাগা শরীরের আত্মবলি দান
গ্রীষ্মের ঠা ঠা রোদ্দুরে অপেক্ষমান
ঘামার্ত পৌরুষ
হায় ঝড়োন্মাদ সন্ধ্যা
প্রেমান্ধ হৃদয়ের মনিবন্ধে অগ্নিমান প্রমত্তা
সব কিছু বিপন্ন করে তুমি নিমগ্ন হয়ছো একাকৃত্বে!
যন্ত্রনার চিত্তে বুকে আমার নির্বান শ্মশান,
বিষ পানে তুমি নীল
আকণ্ঠ বেদনা;
স্বেচ্ছায় জড়িয়ে নিলে কষ্টের উজান
বিধ্বংসী লীলায় ভেসে গেলো আমার স্বপ্নের অমর্ত্য উদ্যান।

মৃত প্রজাপতির মত বীভৎস মুখ
জল অরৈন্য পেরিয়ে আহত পাখা!
কিছুই আর-
অবশিষ্ট নেই আমার
মৃত্যু আসে যদি  
আসুক
এই আমি পা বাড়ালাম তোমার পানে
তাতে যদি অবসান হয় ইচ্ছের নির্বাসনের...।