তোমাদের একজন বলে যতবার নিজেকে দিয়েছি প্রবোধ
ততবার আমাকে দূরে সরিয়ে নিজেদের করেছো নির্বোধ।
যেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বাহিরে ভিন্ন প্রজাতির কেউ আমি-
এই দেশ, এই গ্রাম, শহর, বন্দর
এই আলো ছায়া, আকাশ- বাতাস, জাগতিক নিয়ম নখর
এসবের কিছুই আমার জন্য নয়; সব কিছুর পরও
এই আমি নিজেকে আবিষ্কার করি অজর কবিতার ভেতর।
সেখানেও তোমরা বাদ রখোনি-
নির্বিচার বিভাজনে ছিন্ন ভিন্ন কবিতার খাতা
ব্র্যাকেটে ব্র্যাকেটে বন্দি শাশ্বত সুর, সতত কবি আর কবিতা!
গ্রামের কবি- শহুরে কবি
প্রেমের কবি- দ্রোহের কবি
ধনের কবি-মনের কবি
জ্ঞানের কবি- ধ্যানের কবি
রসের কবি- ত্রাসের কবি
তাম্র -তমাল ক্ষুধার্ত কবি
জয়ের কবি-ক্ষয়ের কবি
লেবাসের কবি -জৌলুসের কবি
আমোদ, প্রমোদ - তোষামোদের কবি
রাতারাতি ক্ষমতার কবি
জাতের কবি, ধর্ম বর্ণ গোত্রের কবি
কর্পোরেট সভ্যতার নব্য কবি
কৃতির কবি, স্বীকৃতির কবি...
এভাবে ব্র্যাকেট বন্দি হতে হতে কবিরা ভুলে গেছেন নিজেদের প্রাণের দাবী!
ভুলে গেছেন শব্দ নির্মাতা নয়- কবির সত্ত্বাই কবির আপন পৃথিবী,
চেতনায় জাগা নৈবদ্যের আকুতিই প্রতিটি কবির শ্রেষ্ঠ কবিতা
বিশেষ বিশেষণে নয়- মুক্ত চেতনার উন্মুক্ত বিচরণে
অনুপ্রাণনে জেগে উঠা সত্ত্বার প্রতিটি স্পন্দনে কবি জন্ম নের সহস্রবার,
স্মরণে- বরণে
দহনে- নির্বাণে
ক্ষয়-অবক্ষয়ের সুক্ষ্ণ গরলে
মর্ম যতনে জীবনের পরতে পরতে কবি গড়ে দেয় নির্ভার পৃথিবী;
তোমারা কোন বিশেষণে আটকে রাখবে এক জন কবির ক্ষণজন্মা
যার আত্মায় উৎসারিত পবিত্র প্রেম, ক্ষমা...নব নব মহিমা।
দাউদুল ইসলাম।
৬/২/১৭