সুমন দাস।
ঈশান কোণেতে খুশির জোয়ার যে,
আনন্দেতে আজিকে মশগুল সব।
প্রথম বারের মতো দোরগোড়ায়,
প্রাণের নদী নমামি বরাক উৎসব।।
বরবক্র নাম খানি ছিল যে যাহার,
এখন বরাক নামে সকলেই চিনে।
অবস্থান সেই পূণ্য ভূখণ্ড খানির,
ভারতবর্ষ দেশটির ঈশান কোণে।।
সবে বলে এপার ও ওপার বাংলা,
বাংলা বুঝি গো রয়েছে মাত্র দুই।
বাংলার জন্য প্রাণ দিল এতো জন,
কি করে ঈশান বাংলাকে ভুলে রই।।
অনেকে দুই বাংলা নিয়ে উৎসুক,
আমরা বলি যে বাংলা হলো তিন।
তোমার বাংলাকে সকলেই চিনে,
ঈশান বাংলা রয়েছে প্রচার বিহীন।।
বরাক নদীর পাড়ে গড়েছে সভ্যতা,
তাই স্থানটি হলো বরাক উপত্যকা।
এই বাংলাকে যদি খুঁজে বেড়াও,
পাবে ভারতের ঈশান কোণে দেখা।।
যার পাড়েতে সদা রয়েছে বিদ্যমান,
পাঁচগ্রামে কপিল মুনির সুদৃশ্য আশ্রম।
হরিটিকরে গেলেই দেখতে পাবে সবে,
বরাক কুশিয়ারা সুরমার ত্রিবেণী সঙ্গম।।
নানা ধর্ম ও ভাষার লোকের বসবাস,
যার অন্য নাম হলো যে শান্তির দ্বীপ।
শস্য শ্যামলিমায় ভরপুর আমাদের,
প্রাণের বরাক উপত্যকার চিরিদিক।।
বড়াইল পাহাড় যাহার প্রহরী স্বরূপ,
একটি দিকে রয়েছে সদা বিদ্যমান।
ভুবন পাহাড় যে ধর্মীয় আস্থার স্থল,
চূড়ায় শিবের দেউল পেয়েছে স্থান।।
সাজো সাজো রব তিনটি জেলায়,
বরাক নদী সবারে দিলো যে ডাক।
হবে সফল সকলের হাতে হাত ধরে,
প্রাণের নদী উৎসব নমামি বরাক।।
-©-Sumon Das-----07-11-2017-