আমরা আছি ভীষণ দুঃশ্চিন্তায়
একটাই মোদের দাবি,
যে করেই হউক পেতেই হবে
পাতালপুরীর চাবি।
ঐখানে কেউ যাসনে তরা
বললো বুড়ো-বুড়ি,
সেথায় গেলে তদের মাথায়
ভেঙ্গে দিবে হাঁড়ি।
বললাম কেঁদে আমরা সবাই -
চিনো কি কালো মণি?
পাতাল থেকে আনবো সেটা
বেঁচে যাবে খুকুমণি।
আমরা বললাম ও বুড়ি মা
কি হবে তাই বলো,
বুড়োটা এসে বললো তখন
আমার সাথে চলো,
আগে আগে চলছে বুড়ি মা
পিছনে আমরা সবাই,
রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে হঠাৎ
কতক সাদা নীল গাই!
সবে বললাম বাহ্ বুড়ি মা
দারুণ তো সব প্রাণী,
রেগেমেগে বুড়োটা বললো
সে তো আমি জানি!
বুড়ি বললো কথা বলিস না
চুপচাপ সাথে চল,
সামনে গেলে দেখতে পাবি
পক্ষীরাজের দল!
বুড়ো বলে বয়স কালেও
বুড়ির যত ঢং,
বুড়ি মা হেঁসে বলেলেন
মারবো নাকি রং ?
হেঁটে হেঁটে বুড়োটা এবার
যাচ্ছে ঢের গহীনে,
গাছে গাছে অসংখ্য পরীরা
উড়ে সেথা রাতে-দিনে।
বুড়ি মা বলে খিলখিলিয়ে হেঁসে
আর কি দেখবি বল?
বুড়ো বললো সামনেই আছে
মৎস্য কন্যার দল,
আমরা বললাম ও বুড়ি মা-
দুই একটা তবে ধরি,
রেগেমেগে বুড়োটা বললো
সামনে রাক্ষসপুরী!
থরথর করে কাঁপছি সবাই
জানটা বুঝি গেলো,
বুড়োটা বললো অভয় দিয়ে
আমার সাথে চলো।
হেঁসে হেঁসে বুড়ি মা বললো
দেখ ঐ বুড়োর লাঠি,
কদিন আগে দাঁত ভেঙ্গেছিল
রাক্ষসের এক পাটি!
অবাক হয়ে বললাম আমরা
জাদুর লাঠি নাকি?
খিলখিলিয়ে হেসে বলে বুড়ো
কথা নয়,বহু পথ বাকি!
টের পেয়ে সব রাক্ষসেরা মিলে
দিলো এবার হানা,
বুড়োটা খুব রেগে বললো
এখানে আসা মানা,
রাক্ষস রাজা রেগেমেগে তাই
ধরলো বুড়ি মা'র চুল!
বুড়োর জাদুর জ্বীনে মারলো
রাক্ষসের পেটে শূল।
ঘাড় ধরে তাই বললো বুড়ো
বের করে দে কাল মণি,
খোকন সোনাকে বাঁচাতে হবে
ছাড়বো তবেই এক্ষুনি!
রাক্ষস রাজা মণি দিতেই
খালি হলো রাক্ষসপুরী,
দৈতাকার সেই জাদুর জ্বীনটা
নিয়ে এলো খুকুর বাড়ি।
খুকুমণির মাথায় মণি রেখে
ললাটে দিলো এক চুম,
খোদার রহমতে এক মুহূর্তেই
ভেঙ্গে গেলো খুকুর ঘুম।
বিদায় বেলায় সবাই বললাম
ভালো থেকো বুড়ো-বুড়ি,
হেঁসে হেঁসে তারা বললো দু'জন
আবার যেও পাতালপুরী।