নিশীথের আলোতে রাত্রি পোহালো
দিনে অন্ধকার ভারী,
চাঁদ তারকারা আঁধারে লোকালো
সূর্যটা গেছে ছাড়ি,
বোবা বাক্সটা বন্দী আছে আজও
চার দেয়ালের মাঝে,
সকলের মুখেই কথার ফোয়ারা
নেই তারা কোনো কাজে,
রূপের আগুনের লালসার নাড়ু
আছে বহুজনের কাছে,
অনাহারী সব ক্ষুধার্ত লোকেরাই
ছুটছে তাদের পিছে,
স্বার্থের প্যাঁচে মনুষ্যত্বটা কোথায়?
বোকা বাক্সে আছে বন্দী,
মায়া হারিয়েছে কালো গহ্বরে
শত্রুর সনে করে সন্ধি!
এটাই তবে সেই সজীব গ্রহ-
মানুষ মরছে অহরহ,
পশু-পাখি খুঁজে পায়না আবাস
তাদের আবার প্রেম-বিরহ!
শ্রদ্ধাবোধটা নেই তেমন আর
বাচ্চা শিশু পায়না আহার,
মা-বোন হচ্ছে বিদেশে বিক্রি
মুখোশেতে রঙ্গের বাহার!
অকারণে নিচ্ছে ঘুষ বা চাঁদা
নাম দিয়েছে বড় দাদা,
সুদ নিয়ে কেউ পেট ফুলিয়ে
মাখে যেন মুখে কাঁদা।
কারোর জীবন নির্ভেজাল খুব
মনটা স্বচ্ছ কাঁচ,
নেশার ঘোরেই মাতাল তারা
দেয়না কাউকে আঁচ।
চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করা
কিছু নেশাক্ষুরের কাজ,
বহু ভদ্রলোক জড়িত থাকে
উল্টাতে পারে না মাছ!
উদাস মনে খায় কেউ আবার
চা-সিগারেট-পান,
কেউ মেরে দেয় দুই-এক টাকা
কোটি করে কেউ দান,
প্রেম করে কেউ করে রোমান্স
কেউ খাচ্ছে ছ্যাঁকা,
কেউবা আবার বিয়ে করেই
হয়ে গেছে বাঁকা।
ইবাদতে কেউ মশগুল থাকে
করে সদা ভাল কাজ,
সবাই তাদের অনুসরণ করবে
যদি থেকে থাকে লাজ।