শত বছর আগের এক পড়ন্ত বিকেল,
যেন আঁধার নেমে এসেছে চারদিকে,
মাঝ আকাশে চাঁদ উঁকি দিচ্ছে প্রায়।
শীতের শীতলতা যেন গ্রাস করছে,
সূর্যটা হাঠাৎ করেই হারিয়ে গেলো !
চেনা প্রকৃতির আবছায়ার বসে দুজনা ।
সেথা এক ঝড়ে পরা ফুল প্রলাপ করে,
পাশে বসে শুনে নির্জীব এক পাথরখন্ড,
মিনতি করে বলে তার ঘর বাঁধার স্বপ্ন।
পাথরখন্ড কিছুই বলে উঠতে পারেনা,
শুধু শুনে যায় সে ঝড়া পাতার গল্প,
পরশু ফুলের সুভাস নিবে অন্য কেউ!
বাবা ভীনদেশী কাউকে সঁপে দিচ্ছে -
তুলে দিচ্ছে পাপড়ি, ফুল সহ সুভাস,
সাথে যাবে বাবার কিছু উপঢৌকন।
ফুলের পাগল প্রলাপ যেন নিছক গল্প,
কেঁদে বলে আমাকে নিয়ে যাও কোথাও-
তুমি সুভাস নিও প্রাণভরে যখন তখন।
নির্জীব পাথর খন্ড শুধুই স্তব্ধ রয়ে যায়,
এদিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের অন্ধকার,
ডালপালা আঁকড়ে ধরে পাথরখন্ডকে!
একটি ফুলের কলি ফুটার অপেক্ষায়,
কিছু ফুল শীতলতা পেয়ে সুভাস দেয় ।
বহু পুরনো হয়ে গেছে সে ফুলের ঘ্রাণ,
পরিচিত সুভাস নিতে কোন অনিহা নেই,
হঠাৎ ফুল নুইয়ে পরে রাতের নীরবতায়,
নির্জীব পাথর কিছু বলে উঠতে পারে না।
ক্রন্দনরত বৃক্ষ যেন ডাল ছাড়িয়ে নেয়,
বিস্তার করা সব শাখা-প্রশাখায় কাঁপুনি!
হঠাৎ উঠে যেন কোথায় হারিয়ে যায়।
নির্জীব পাথর বোবাকান্নায় প্রলাপ করে,
পাশে থাকা শক্ত কিছুতে আঘাত করে,
ঝরে পরে নির্জীব পাথরের লাল রক্ত,
রক্তে লিখা হয়ে যায় এক রঙ্গিন চিঠি ।
তারপর হয় নির্জীব পাথরের অপমৃত্যু!
উপরে লিখা থাকে সুগন্ধি ফুলের নাম,
লিখা থাকে তার পরিবারের অপারগতা।
পরে থাকে জমে যাওয়া লাল পাথরখন্ড,
কুয়াশায় ভিজে আচ্ছন্ন এক লাল চিরকুট!