ট্রায়াংগেলর রহস্যময় বারমুডায় চলমান জাহাজ,
ঢেউ এসে কখনো সজোড়ে ঝাপটা মারে দেয়ালে,
কখনো জাহাজকে উপরে তুলে মর্ত্যে আছাড় মারে,
উপর থেকে ওয়াচ ম্যান সবই দেখছে খুব খেয়ালে।
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি আছে কালচে মেঘের ভেলা,
মনে হয় রাক্ষস আর দৈত্য দানব ধরবে গলা টিপে,
আকাশ জুড়ে খেলছে তীব্র আকর্ষণে তাড়িত বিদ্যুৎ,
আচমকাই চোখ পড়ে গেলো রহস্যময় নিঝুম দ্বীপে।
কূলকিনারা খুঁজে না পওয়া একদল বণিক গোষ্ঠী,
যেন নিরাশা ও অনাহারের মাঝে ঝলসানো রুটি,
সজোরে চিৎকার করেই জানান দিচ্ছে সবাইকে,
দ্বীপের সৌন্দর্যে মোহিত হয় তার নির্ঘুম চোখ দুটি।
প্রচন্ড আগ্রহে তাকিয়ে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখছে খুব,
এদিকে নাবিক জাহাজকে দ্বীপে ভিড়াবার প্রচেষ্টায়,
হঠাৎ তার চোখ পরে ঝাঁক জমক পূর্ণ অদ্ভুত গৃহে,
সেথা কাঠের দোতলায় এক সুন্দরী যেন অপেক্ষায়।
চেঁচামেচিতে দ্বীপের মানুষ এদিকে ওদিকে তাকায়,
ওয়াচম্যান তাকিয়ে শুধু দোতলার কোঠরির দিকে,
দূরত্ব ক্ষানিকটা কমতেই জাহাজ দৃশ্যমান হয়ে যায়,
অস্পরী জাহাজটাকে দেখতেই চোখ পরে চোখে ।
তারপর দ্বীপে মুক্ত আনাগোনায় সকলেই খুব ব্যস্ত,
কেউ পর্যাপ্ত খাবার কিনে নিচ্ছে কেউ কিনে ভেষজ,
ওয়াচম্যান খুব খুঁজে সেই দুতলার রমণীর কোঠরি,
সন্ধ্যায় অনেক যাচিয়া পেলো এক ব্রোথেল খোঁজ।
রমণী দৌড়ে এসে হঠাৎ জাপটে ধরে ওয়াচম্যানকে,
রাত গল্পে কাটিয়ে দিবে সে অচেনা রমণীর সাথে,
সাথে কিছু শুষ্ক খাবার ফল আর পঁচা গন্ধের তরল,
নেশার ঘোরে হটাৎ আগন্তুক উঠে যেন নৃত্যে মাতে!
ঘুঙ্গুর আর বিছার মৃদুল ধ্বনিতে হয় আলাপচারিতা
সে ঝড়ের কবলে জলদস্যুদের হাতের শিকার মাত্র,
বিকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বণিকদের মনোরঞ্জনে ;
কেটে গেলো নৃত্যে আর কথোপকথনের সারা রাত্র।
ওয়াচম্যান তাকে নিয়েই পাড়ি দিবে  বায়না ধরে,
ফিসফিসিয়ে সে বলে পূর্বের এক প্রেমিকের মৃত্যু,
তাকে কিনে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা কাল হয় জীবন,
এখনো সকাল হয়নি,সে অন্ধকার রাতটা বাকি ডের।
ভোর হতেই রওনা হবে বলে আরোহন করে সবাই,
নোঙর তুলতেই মন ভাঙ্গে,কান্নায় কাঁপন ধরে বুকে,
পাল তুলে জাহাজটা পাড়ি জমায় ফের বারমুডায়,
ওয়াচম্যান তার চোখ দেখে ফের সে মাস্তুল থেকে!