কিশলয় তাহার এলোমেলো অগোছালো,
শরীর বাহিয়া স্বেদবারির স্রোত বহে,
খোকা মায়ের ম্লান মুখখানি দেখে কাঁদে
মা,কত কাল ক্যাম্পে যাইতে হবে?
রাতে ক্যাম্পে দৈত্য-দানবের আনাগোনা !
অবুঝ খোকা রাক্ষস খুব ভয় পায়,
দেরি না করে আঁধারের অপেক্ষায় থাকে,
সূর্য ডুবার সাথেই ঘুম পারানি শুনে,
ঘুমের দেশে যায় দৈত্যরা আসার পূর্বেই।
রমণীর স্বামী বাড়ি নাই বহু দিন,
দৈত্য দানবদের থেকে রেহাই পায় না সে,
দৈত্যেরা তার রূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ,
রাক্ষসদের পিপাসা না মিটালে কি চলে!
খোকা মাকে উদ্দেশ্য করে বলে -
মা ঐ দৈত্য- দানবেরা কি আর যাবে না?
রাতে আমার খুবই ভয় লাগে ।
মা কান্না ভরা কন্ঠে অস্পষ্ট হেঁসে বলে -
আমার রক্ত যেদিন শেষ হবে!
খোকা নতুন স্বপ্নে প্রানখুলে হাসতে থাকে ।
বাবার কথা তার মনে নেই,
তার জন্য স্বাধীনতা নিয়ে বাড়ি আসবে।
খোকা এখন খুব ক্ষুধার্ত,
আজ তিন দিন হলো খোকা একা থাকে,
দৈত-দানবদের ভয় পায়না ,
শুনাতে হয় না ঘুম পারানির মাসি-পিসি,
গুলি শুনলেই দৌড়ে যায়!
পিপাসা মিটাবে বলে নদীতে যায় খোকা,
সেখানে পঁচা গলা লাশ দেখে,
একটা আঁচল তার খুব চেনা লাগে সেখানে,
টানতেই দেখে অর্ধ গলিত মুখ।
ভাবে মায়ের শাড়ি বোধহয় চুরি করেছে কেউ!
পিপাসা মিটিয়ে হাঁটে আর ভাবে ,
দৌত্য-দানবেরা বোধহয় চলে যাবে খুব শীঘ্রই,
লাশকে ফের দেখে মনযোগ দিয়ে,
খোকা তার চোখে এখন শুধুমাত্র ধূম্রজাল দেখে,
স্বাধীনতা, দৈত্য আর শাড়ির আঁচল!
গলিত মুখ দেখে আর ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু বলে!