নিকুঞ্জ নিবাসে বসে খুব করে ভেবে নিবো আর একবার,
ভেবে নিবো তোমার চোখের চাহুনিতে লুকানো রহস্য,
যখন হঠাৎ করে তাকাতে তখন চাহুনির উত্তর পেতাম না,
মায়াময় অদ্ভুত রহস্যে ঘেরা তোমার চাহুনির ভাষাগুলো,
আমি উত্তর খুঁজে বেড়াতাম তোমার মনের অলিগলিতে,
আর তুমি কখনো ইচ্ছে করে কথা বল নি আমার সাথে,
দাওনি মনে জমে থাকা শত শত প্রশ্নের কোনটার উত্তর,
দাওনি অধীর আগ্রহের বিনিময়ে তোমার হাতের স্পর্শ,
যে হাত তোমায় ভালবেসে অসংখ্য কবিতা রচনায় ব্যস্ত।
তোমায় দেখতে না পওয়ায় হৃৎপিণ্ডে খুব রক্তক্ষরণ হয়ে-
বুকে চাঁপা কান্নায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে স্থবির হতো যে নাক,
সে নাকে কখনো তোমার চুলের মাতাল গন্ধ আসেন নি।
তোমাকে নিয়ে হাতে হাত রেখে হাঁটা হয়নি কোন রাস্তায়,
বৃক্ষরাজিতে ঘেরা ছায়াময় নিবিড় জায়গায় বসা হয়নি,
বসা হয়নি ক্লান্তি মাখা শরীরে বাদাম কিংবা চায়ের কাপে।
হয়নি রঙ্গিন আলোতে ঘেরা রেস্তোরাঁয় আলাপচারিতা,
ব্যস্ততার আড়ালের ব্যস্ত নগরীতে এসব ভাবার সময় কই!
যে ঠোঁট তোমাকে ভালবাসার গল্প বলে যেতো সবসময়,
যে ঠোঁটে তোমার ঠোঁটের আলতো স্পর্শ পাওয়ার কথা,
সে ঠোঁট জ্বলছে অগ্নিশিখা সম্বলিত জলন্ত কুহেলিকায়!
খুব করে ভেবে নেবো আমি সকল রহস্যময় ভাবনাগুলো,
তারপর না হয় শহুরে ব্যস্ততায় নিজেকে ব্যস্ত করে নিবো,
প্রিয়তমার আলতো হাতের স্পর্শ নিবো শহরের নীরবতায়,
কোমল ঠোঁটের স্পর্শ নেবো হাতের চায়ের কাপ থেকে,
কখনো ঘা এলিয়ে পিঠে পিঠ রেখে বসব খোশমেজাজে,
কোমল ঘাসে জুতো খুলে হাঁটা হবে হেমন্তের কুয়াশায়।
নিদ্রা যাপন হবে খুব নিবিড়ে রাতের গভীর নীরবতায়।