কা’কে চোট-আঘাত করিছ তুমি, কা’কে বাসিছ ভালো?
কী করিয়া জানিলে তুমি, কা’র অন্তর সাদা,কা’র অন্তর কালো?
তোমাতে র’য়েছে শাস্ত্রীয়-জ্ঞান, তাই করিছ কি গর্ব?
মানুষ পিষিয়া ধরাতলে সেই জ্ঞানেই করিয়াছ স্বর্গ!
জয়ী হইয়া কা’কে শোনা’বে রবের অমিয়-বাণী?
না খেয়ে মরিল যাঁ’রা, শুনি কে টানিবে সে’ গ্লানি?

চক্ষু মেলিয়া দেখ চেয়ে, অনাহারে মানুষ মরিছে সরণি-পথে,
পেট ভরিয়া তর্ক করিছ কেতাব নিয়া হাতে।
কে যাবে নায়ীমে, কে যাবে ছায়ীরে, তোমাতে আছে কি সে’ জ্ঞান?
তবে কোন করিছ হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, কেন মানিছ না রবের বিধান?
তোমাকে পাঠায়াছেন যিনি এ’ ভবে, তাঁহাকেও পাঠায়েছেন তিনি,
তবে কেন অপরের দখল কারিয়া নিয়া করিছ ছিনিমিনি?

স্থির হইয়া স্বল্প ভাবিয়া দেখ, আজি মরিলে কাল হ’বে দুইদিন,
কোথা যাবে তুমি, টানিবে কে তোমার পাপের-ঋণ?
কে আছে তোমার, তুমিই বা কার, কভু কি ভাবিয়াছ এ’ কথা তুমি?
গঠনেই কেবল ছিলে মানব, নাহি হ’লে কভু দামী!
ত্রিভুবনের মালিক যিনি, কেবল তিনিই করিবেন পাপ-পুণ্যের বিচার।
তুমি আমি অতীব-ক্ষুদ্র বিশ্বভুবনে, তাই এসো হে, করিব সবাতে শিষ্টাচার।
মনোহর এই সুন্দর ভুবনে, স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টির পাশে রই।
এসো হে প্রিয়, হাতে হাত রাখিয়া কথা দেই, মানুষের মত মানুষ হই।