সমুদ্র পারে বসিয়া তুমি ভাবিছ কা’কে ও-কুন্দনিকা,
তোমায় যে চাহিয়াছি আমি জন্ম-জন্মান্তরে ও-অ-নামিকা।
এ-দরিয়া শুকিয়ে যাইবে আমারি প্রেমো-তৃষ্ণায়,
খরা হইবে এ-ধরায় যদি কভু মন তোমায় হারায়!
পথ ভুলিয়া তোমারি গোচরে আমার যে শেষ ঠাঁই!
তোমায় ভাবিয়া খড়কুটিরে বাহারি রঙে স্বপ্ন সাজাই।
তোমার লাগিয়া ছাড়িব মর্ত্য নাহি চাহি স্বর্গলোক;
তোমারি প্রেমে পুড়িয়া হইব অঙ্গার; তোমাতে রচিব দুঃখ-শ্লোক।
তোমারি আরাধনায় যামিনী হ’য়েছে ভোর;
পাষাণী কবে তুমি খুলিবে ঐ-চিত্তের দ্বোর।
তোমার লাগিয়া হাঁটিব পথ পৃথিবীর বুকে হাজার বছর ধরিয়া,
তোমায় আপন করিবার পণে বোহেমিয়ান হইব সবকুল ছাড়িয়া।
তোমার প্রেমের অমর-পরশ মাখিব মোর গায়ে,
মর্ত্যসুখ বিলিয়ে দেব তোমার রাঙা পায়ে।
কবে তুমি রাখিবে চরণ পিয়াসী কবির-কুঞ্জে;
সযত্নে রাখিয়াছি তোমায় আমারো হৃদয়-মালঞ্চে।
তোমারি বিরহে প’ড়েছে খসিয়া আসমানের তারা!
তোমারি প্রতীক্ষায় পথ চাহিয়া হইয়াছি দিশাহারা!
কবে তুমি হইবে মোর ব’লে দেও নিঠুর-বঁধুয়া,
তোমাতে যে পরান বাঁধা তোমাতে আছে বিঁধিয়া।