এ-গাঁও ও-গাঁও করে মোরা খেলতে যেতাম কত দূর,
কখনো কখনো রাত কেটে নেমে আসত যে ভোর।
এ-গাঁর সাথে ও-গাঁর খেলা, কত মজা খেলার চলে,
সবার মধ্যে সেরা আমার গাঁও,একথা লোকে বলে।
ঊষার সময় ছুটে যাইতাম,ফিরতাম সাঝের বেলা,
রাতে আবার যেতাম চলে,ঐ গাঁয়েতে যে বসেছে মেলা।
এমনি করিয়া সকাল সাঝ,কাটিয়া দিতাম খেলার চলে,
ছেলে গুলি আর হবেনা ভাল,মুরুব্বিরা সকলে বলে।
গ্রামটি মোদের ছিলনা ছোট,আবার নাহি তত বড়,
বিকেল বেলা সকল পাড়ার ছেলেরা, মাঠে হইত জড়।
এগারো জন করিয়া,দুটি দল নিয়ে মাঠে ওরা খেলত,
ওনেকে আবার খেলতে না পেরে, চোখের পানি ফেলত।
স্কুলের মাঠ ছিল ছোট, গাছ ছিল মাঝখানে সাড়ি সাড়ি,
ছক্কা মারলে বল চলে যেত,স্কুলের ও পাশের বাড়ি।
বলটা হাতে,লাঠি থাকত সাথে,বাড়ির কর্তা বলতেন আও
বুকে যদি থাকে সাহস বলটা আমার থেকে নিয়ে যাও।
এমনি করিয়া কত বল হারিয়ে গেছে স্কুলের ওপাশের বাড়ি,
হারিয়ে গেছে বন্দু বান্দব,অনেকে দিয়েছে বিদেশ পাড়ি।
স্কুলেতে মিটিং হত,আগামিতে গায়ের কেপটেন হবে কে?
ব্যাটে বলে সমান খেলে,আগামিতে কেপটিন হবে সে।
এমনি করিয়া একদিন হত,সবার ভোটে কেপটিন নির্বাচন,
হাতে হাত রেখে লড়ব,ভেদাভেদ ভুলিয়া এটাই করিত পণ।
কত টুর্নামেন্ট খেললাম মোরা,জীতলাম কত খেলা,
সফল দল বলত মোদের,কারো সাহস নেই করে অবহেলা।
দশ টাকা বিশ টাকা করে দিতাম মোরা, টুর্নামেন্টের ফী,
কেউ আবার তাল বাহানা করত, যদিও দিত শেষ অবধী।
কত জগড়া, কত বিবেদ, খেলার মাঠে কত হাসা হাসি,
টুর্নামেন্ট যদি হারতাম মোরা,কত কথা বলত গ্রাম বাসি।
এমনি করিয়া হারিয়ে গেছে,সে সোনালী দিন গুলি,
দুর দেশে থাকলেও তাই, কি করে তোদের ভুলি।
সোনায় মোড়া দিন ছিল, নিয়ে এসেছিল সোনালী ভোর
আমার গ্রামের নামটি মধুর সোনার আজব পুর।