গুরুজী তোমায় দেখাতে চলেছি
সপ্তদশ সতকের অপরুপ  কুড়ুলিয়া গ্রাম
দেখতে হবে মনের রঙিন  চলচ্চিত্রে
সারি সারি ঘরবাড়ি আম কাঠালের বাগান
যেন তা ছেয়ে আছে পাড়ার সবুজ ছাদ হয়ে।

মাঝে পদ্মা- দু'পারে  কুলুলিয়া গ্রাম
পদ্মায় হাজারো নৌকা -এটা যে নদীবন্দর সেখানে বসবাস পাবনার ধনি বণিক শ্রেণীর   কৃপানন্দ সাহা- যে কিনা সে আমলের কোটিপতি।

এখানে ছিল পাকুরিয়ার রাজবংশ
নদী ভাঙ্গনে যারা পাকুড়িয়ায় গড়েছিল আধুনিক শহর
রাস্তার মোড়ে ল্যাম্পপোস্ট
ঝাড়ুদার ঝাড়ু দিত রাস্তা
এমনকি পতিতালযও ছিল সেথায়।

হরিবল্লভ-সচ্চিদানন্দ- চন্দ্রনাথ মজুমদার
যারা ছিল পাবনার প্রাণ
যাদের পাটিগণিত ছিল পাবনার পাঠশালায় পাঠ্য
তাদেরই পূর্বপুরুষ ছিল কুরুলিয়ার স্বনামী-বংশ

দেখাবো জমিদার যদুনাথ ভট্টাচার্যের ভিটা-কুয়া
মহেন্দ্র বাবুর আসর ঘর,যেথায় বসতো কিতাব-পুথি পাঠের আসর
যদুনাথই প্রতিষ্ঠা করেছিল কুড়ুলিয়া পাঠশালা
মহেন্দ্র ছিল কোলকাতার শিক্ষিত শিক্ষক।

এদের আনাগোনাই চরকুড়ুলিয়া থাকতো সদা প্রফুল্ল
এটাই হল কুড়ুলিয়ার নিকটতম ইতিহাস
গুরুজী চাইলে আরোও জানাবো,
থাকতে হবে কিন্তু সাথে।।

||
২০/০৮/২০১৭ ইং