পাখিদের মেলা বসে চরকুড়ুলিয়ার গাঁয়,
দেশি পাখি -পরিযায়ী পাখি,
নাম না জানা বেশ কিছু পাখি,
তাদের মেলা বসেছে,
দেখবে- চলো যায়।
হোট্টিটি, চা-পাখি, বালিহাস,চখা
যাদের পদচারনায় কালুর কোল-
হয়ে ওঠে মুখরিত।
শোনায় নানা কিসিমের ডাক।
হারগিল, মাছরাঙা, ছাইকাক, বক,
শামুকখোলও টিকে আছে শামুক আর মাছ খেয়ে,
যেন এরা মানুষের একান্তই কাছের কেউ।
শীতকালে ঝাক বেধে,
লাখো পাখি উড়ে দিকবিদিক,
যাদের বলে পরিযায়ী পাখি-
অথবা ইউরোপ থেকে আসা আমদের মেহমান।
চরকুড়ুলিয়ার সম্পদ বলতে ঘুঘুকেই বোঝায়,
রুপালী রঙের,হাজারে হাজার-
ঝাক বেধে খায়।
মনে হয়,
আমিও যদি হতাম বুনো-
প্রকৃতির একাংশ।
দুঃখি মন তখন ভাল হয়ে যায়,
নাচে ঘুঘুদের ডাকের তালে।
পেচা,বুলবুলি,ফিঙে, দুইতুলি
সাদা চিল,আইলচারা,কাক।
এরা যে নিজের বাড়ির কোন সদস্যই।
শালিক,চড়ুই,কাটশালিক,সাতভাই,
কোকিল,বাজ চিল যেন-
কুড়ুলিয়ার মাঠের গাছ গুলো ইজারা নিয়েছে।
চামবাদুড়, চামচিকা,
আচমকা উড়াল দেয় পাশ দিয়ে।
মুরগি-ভরই,চারকি-ভরই
করে কাশবনে বাস।
বাবুই শ্যামা দোয়েল মৌটুসি টুনটুনি
কলোরবে মাতিয়ে রাখে পরিবেশ।
মুনিয়া,দুধরাজ,চাতক,টিয়া
আরোও কত পাখি,
কুড়ুলিয়ার মাঠে উড়ে ফেরে-
কত ডাক ডাকি।
পাখি দেখে দিন কাটে,
পাখি প্রেম বড়ই অদ্ভুত।
প্রকৃতি যে চিনেছে,
পাখি প্রেমি হতে তার,
মন সদা করে বুদবুদ।
||
২০/০৮/২০১৭